মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরীর কারখানায় পলিথিন তৈরী হচ্ছে। এসব পলিথিন চৌমুহনী শহরের কয়েক স্থানে পাইকারি বিক্রী হচ্ছে । চৌমুহনী শহর ছাড়াও বেগমগঞ্জ,সেনবাগ,সোনাইমুড়ীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এখান থেকে পলিথিন সরবরাহ হয়ে থাকে।নোয়াখালীর বানিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চৌমুহনী শহর। পরিবেশ দুষন রোধে সরকার পলিথিন বিক্রী ও তৈরী নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও সরকারি ঘোষনার তোয়াক্কা না করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অবাধে পলিথিন তৈরি করে বাজারজাত করছে। চৌমুহনী ছাড়াও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সরবরাহ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চৌমুহনী শহরের কলেজ রোড, হকার্স মার্কেট, করিমপুর রোড, ডেলটা গেট সংলগ্ন স্থান, দক্ষিন বাজার, বিসিক শিল্প নগরীতে অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরী করে চলেছে। উৎপাদিত পলিথিন বিক্রী করার জন্য নিদ্দিষ্ট পাইকারি মার্কেট রয়েছে। সে স্থানের নাম সাঁটিহাটা ও কালীতলা রোড। সাটি হাটায় বেশ কয়েকটি পলিথিনের গুদাম রয়েছে। চৌমুহনী শহরের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের পাইকাররা এসে পলিথিন কিনে নিয়ে যায়। পরিবেশ অধিদপ্তর, বা প্রশাসনের যেন এ ব্যাপারটি জানে না। মাস শেষে কোন কোন দপ্তরের ক্যাশিয়ার নামধারী লোক এসে মাশোহারা নিয়ে যেতেও দেখা যায়।এ ব্যাপারে একজন পলিথিন বিক্রেতা ও একজন উৎপাদনকারীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, আমরা সব কিছু ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। আমাদের কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ কামরুজ্জামান শিকদার জানান, থানায় কোন ক্যাশিয়ারের পদ নেই। কে ক্যাশিয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ব্যসায়ীদের নিকট থেকে মাসোহারা আদায় করে, তা খুঁজে দেখছি।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুন নাহার জানান, আমি এ ব্যাপারে সঠিক খোঁজ খবর নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।