আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এক সময় যে প্রমত্ত পদ্মা পাড়ি দিতে মানুষকে পোহাতে হতো ভোগান্তি, ফেরি ঘাটে বসে থাকতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর রোগী কিংবা কাঁচামাল নিয়ে ফেরিঘাটে বসে ফেলতে হতো কষ্টের দীর্ঘনিঃশ্বাস, মানুষের সেই দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ জুন চালু হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু।
এই সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে যেমন দু’পারের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে, তেমনি সচল হয়ে উঠবে অর্থনীতির চাঁকা।
এ প্রসঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকালে মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের ব্যবসায়িক অঞ্চলগুলোর সাথে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমে যাবে এবং চট্রগ্রাম বন্দরের সাথে প্রায় ৮০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে আসবে। এই সংযোগের মাধ্যমে কোন যানজট ছাড়াই খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে আমদানি এবং রপ্তানিকৃত মালামাল খুব তাড়াতাড়ি ঢাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকদের জন্য সময়, অর্থ ও দূরত্বের সাশ্রয় হবে। যার ফলে গুরুত্ব বেড়ে যাবে মোংলা বন্দরের। আমদানি রপ্তানি বাড়লে বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বন্দর সংশ্লিষ্ট মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানসহ আয় বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতুর কারণে এই অঞ্চল নতুন করে জেগে উঠবে। তবে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের এই বন্দর ব্যবহারের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।