পাংশায় ট্রাক ও ত্রি-হুইলারের (মাহেন্দ্র) মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশা কলেজ মোড় এর অদুরে ট্রাক ও ত্রি-হুইলারের (মাহেন্দ্র) মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে।নিহতরা একই পরিবারের, তারা হলেন বাবা ইসহাক শেখ (৩৫), তার কন্যা শিখা (১০) ও পুত্র আব্দুল মালেক (৫)।স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
গত সোমবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে ওই দূর ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
নিহতরা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার বাসিন্দা। নিহত ইসহাক শেখ সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।তারা সপরিবারে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, গভীর রাতে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ত্রি-হুইলাম (মাহেন্দ্র) পাংশা কলেজ মোড় পার হয়ে আজিজ সরদারের মোড় বাস স্টান্ড এ পৌঁছানোর আগেই কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় মাহেন্দ্র উল্টে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম গভীর রাত পাংশা কলেজ মোড় পার হয়ে দেখি একটা মাহিন্দ্র উল্টে পড়ে আছে।রাস্তায় আর কেও তখন নেই। পাশে একজন বয়স্ক লোক মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মাহিন্দ্র এর পিছন থেকে একজন লোকও দুজন মহিলা আহত অবস্থায় বের হয়ে আসলো। বাকি তিনজন ছিল ভিতরে যার মধ্যে একজন মেয়ে এবং একটি ছোট বাচ্চা ছেলে আর ওদের বাবা। ড্রাইভার সহ মোট ৮ জন যাএী ছিলো। এদেরকে বের করার জন্য মহেন্দ্রটি সোজা করতে হলো তখন আমরা ছিলাম ৬ জন। মহেন্দ্রটি সোজা করার সাথে সাথেই দেখা গেল লোকটি(বাবা) এবং মেয়েটি আর বেঁচে নেই। লোকটির দেহ একদমই ক্ষতবিক্ষত ছিল। মাথা থেতলে গিয়েছিল একদম। মেয়েটির তেমন ক্ষত নেই কিন্তু ওর শরীরের হাড় গুলো মনে হচ্ছিল অনেকটাই ভেঙে গেছে। দেখেই বুঝতে পারছিলাম বেঁচে নেই তবুও মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য হাতে রক্তসঞ্চালন চেক করে দেখলাম। কিন্তু নিরাশ হতে হলো আর ছোট ছেলেটি তখন তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে কিন্তু বেচে ছিলো ওকে হসপিটালে পাঠাই একটা বাইকে করে কিন্তু পথিমধ্যে সেও মারা যায়। ঘটনা স্থলে পুলিশ এবং ফায়ারব্রিগেড এর লোক এসে সবাইকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রয়েল আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘটানাটি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।
নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।