বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ দিনে ২০এর অধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ, হসপিটালের ভর্তি 

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ

হঠাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউবওয়েল পানি পান করে ডজন ডজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে,ভর্তি করা হচ্ছে হসপিটালে।তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান বলছে এটা নিয়মিত হয়ে থাকে৷

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত (৩০ আগষ্ট) দুপুরে খাবারের সময় বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল ও ট্যাংকের জল পান করে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত কাল টিউবওয়েল থেকে আবার কেউ ট্যাংকের সাপ্লাইয়ের জল পান করেও অসুস্থ হয়ে পরে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিদ্যালয়ে সাময়িক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। তবে অনেকেই বাড়ি গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে হসপিটালে ভর্তি হতে হইছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ আগষ্ট দুপুরে দিকে এক এক করে বিশ জনের অধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরে। তাদের অনেকেই স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
চিকিৎসা ধীন বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলুফা বলে, আমি প্রতিদিনের মতো সেদিও বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল পানি পান করি টিফিনের খাবার শেষে। তবে তার কিছু সময় পর থেকে আমার প্রচন্ড মাথা ঘুড়তে থাকে। একসময় আমি সেন্স লেস হয়ে পরি। তবে এখন আমি অনেক টাই স্বাভাবিক আছি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন আর এক শিক্ষার্থী জান্নাতি বলেন, যথারীতি অসুস্থ হওয়ার দিন ও নামাজ পড়ে টিফিনের খাবার খাই।আমি টিউবওয়েল থেকেই বোতলে পানি নেয়। তার কিছু সময় পর আমার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। পরে বাড়ি যাই পরিবারের সাথে। সন্ধ্যায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে হসপিটালে ভর্তি হই।

বালিয়াকান্দি পজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে বাড়ীতে চলে গেছে।বাকী ২জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাদের অবস্থাও ভালো। তবে শিক্ষার্থীরা পানি কিংবা খাবারের কারণে না অন্য কারনে অসুস্থ হয়েছে তা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে সঠিক ভাবে জানা যাবে।  প্রাথমিক ভাবে ধারন করা যকচ্ছে অতিরিক্তি গরমের কারনে অসুস্থ হতে পারে।

বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনাল কান্তি সিকদার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষাথীদের জন্য কোন টিফিনের ব্যবস্থা নাই।আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৮শত শিক্ষার্থী। প্রতিদিন এমন অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। তবে গত মঙ্গলবার অন্য দনের  থেকে একটু বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যারা অসুস্থ হয়েছিলো তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে রাতে শিক্ষাথীদের অসুস্থতার খবর জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং তাদের অসুস্থতার বিষয় চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করলে তারা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছে অতিরিক্ত গরমের কারনে এটা হতে পারে।




error: Content is protected !!