মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিন এর যৌথ উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিন এর আহবায়ক আবু ইউসুফ সুমন এর সভাপতিত্বে ও মহানগরী উত্তর এর আহবায়ক লায়ন উমার রাযী আল ফারূক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল অন্যায় জুলুম ও অপশাসনের বিরুদ্ধে এবং বাঙালীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। কিন্তু আজও স্বাধীন বাংলায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। আজ সর্বত্র অন্যায় জুলুম ও অপশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ও মহান বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবার আগে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। বিভক্তির রাজনীতি ও দোষারোপ করার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে একটি মহৎ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। অথচ বিজয়ের ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশের জনগণের সেই বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ‘গণতন্ত্র’ আজও দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। মানুষের ভোটের অধিকার নাই কথা বলার অধিকার নাই চারিদিকে শুধু নাই আর নাই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও প্রিয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফয়েজ বিন আকরাম, জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন রাজু আবু সাঈদ,যোবায়ের আল মাহমুদ, ইমরান হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পরিশেষে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফিরাত, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং দেশের মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।