ব্যবসায়ীকে জখম করে নগদ প্রায় দুই লক্ষ টাকা লুট, ৫জনকে আসামী করে মামলা

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২২
এস কে ইউসুফ, খুলনা।। নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন গিলাতলা গাজীপাড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে হাফিজুর রহমান সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে জখম করে নগদ প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মো. বাদশা শেখের পুত্র আলমগীর হোসেন(৩২), মজিবরের পুত্র রাসেল(২৬), শরীফ(২৬), জাকারিয়া(২৫) এবং আজিজুলের পুত্র আশিক(১৮)সহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে মামলা করেছে(মামলা নং ৪, তাং ৭/১০/২২)।মামলার অভিযোগে জানাগেছে, গিলাতলা গাজীপাড়ার আলী আহম্মেদ সরদারের পুত্র হাফিজুর রহমানের বড় ভাই আবু হানিফের কাছ থেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর একই এলাকার বাদশা শেখ ২১হাজার ৯শত টাকার মাংশ বাকী নেয়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন অযুহাতে টালবাহানা করতে থাকে বাদশা শেখ। গত ৫ অক্টোবর
সকালে বাদশা শেখের বাড়ীতে টাকা চাইতে গেলে বাদশা শেখ ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন টাকা না দিয়ে উল্টো উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয়রা মিমাংশা করে দেয় কিন্তু বিকাল ৫টায় বাদশা শেখের পুত্র আলমগীর দলবল নিয়ে সংঘবন্ধ ভাবে গিলাতলা গাজীপাড়ার বাবু চেয়ারম্যানের মোড়ে হাফিজুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা দোকনের ঢুকে হাফিজুর রহমানকে জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ক্যাশে থাকা মুরগী বিক্রয়ের নগদ ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাফিজুর রহমান সোহাগ জানায়, আমি বিভিন্ন ফর্ম থেকে বাকীতে মুরগী নিয়ে তা বিক্রয় করে মহাজনদের টাকা পরিশোধ করি। উল্লেখিত ব্যক্তিরা দিনের বেলায় জনসম্মুখে হামলা চালিয়ে আমাকে জখম করে দোকান ভাংচুর করে ক্যাশে থাকা প্রায় দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আমি গরীব মানুষ মহাজনদের মুরগী বিক্রির এতো গুলো টাকা নিয়ে যাওয়ায় মহাজনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় খুবই বিপদে আছি। তাছাড়াও যারা আমাকে জখম
করে টাকা লুট করেছে তাদের নামে মামলা করায় খুবই বিপদে আছি।



error: Content is protected !!