আবদুল্লাহ আল মামুন যশোর জেলা প্রতিনিধি
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র না থাকায় যশোরের মণিরামপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা’র ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে বুলডোজার দিয়ে কয়েকটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়াসহ জরিমান আদায়।
গতকাল সোমবার দিনভর পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা-এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা ও যশোরের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী, পল্লী বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে নিয়ে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৭টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনপদ সংলগ্ন অবস্থিত হওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়াসহ জরিমানা আদায় করেছেন। গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটা সমুহ হলো-পৌর শহর সংলগ্ন জালঝাড়া-গাংড়া এলাকায় অবস্থিত সোনালী ব্রিকস, জয়নগর এলাকায় নিউ বোল্ড ব্রিকস ও শরীফ ব্রিকস। এছাড়া জারমানা করা হয়েছে স্বরুপদাহ এলাকায় অবস্থিত বন্ড ব্রিকস কে ৮ লক্ষ টাকা, কাশিপুর-বিজয়রামপুর এলাকার সোহাগ ব্রিকস-১ কে ৩ লক্ষ, সোহাগ ব্রিকস-২ কে ৩ লক্ষ এবং পাতন-জুড়ানপুর এলাকায় অবস্থিত মুন ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা। এছাড়া বন্ড ব্রিকস এর ম্যানেজার হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা-এর ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা আক্তার। এসময় বৃহত্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশীদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইটভাটায় অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান খান।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের বৃহত্তর যশোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ এবং জনপদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ইটভাটা সমুহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভাটার আগুন নিভিয়ে এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করণের পর বুলডোজার দিয়ে ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়াসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া কোন কোন ইটভাটাকে সর্তক করা হয়েছে।