মহামারি করোনা ও নিষেধাজ্ঞায় পযর্টকবিহীন কুয়াকাটা  সৈকতে রয়েছে স্থানীয়দের ভীড় ॥

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া  প্রতিনিধি   ঃ   বিশ্ব মহামারি করোনা ও
নিষেধাজ্ঞার কারনে পযটন নগরী কুয়াকাটা পযর্টকবিহীন। ঈদুল-আযহার ২য় দিনে
সৈকতে হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয়দের আনাগোনা বেড়ে যায়।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইকোপার্ক সংলগ্ন ঝাউবাগান ও মাঝি বাড়ি পয়েন্টে এসব
লোকজনদের লক্ষ্য করা গেছে। তারা মাস্ক পরিধান কিংবা স্বাস্থ্যবিধিও
মানছেনা। তবে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকায় সমুদ্র সৈকতের প্রধান সড়ক জিরো
পয়েন্ট ছিল একেবারেই ফাঁকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত পহেলা এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন
রোধে পযটন নগরী কুয়াকাটা ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপরও
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সৈকতে বিভিন্ন
পয়েন্টে স্থানীয়দের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তবে হোটেল-মোটেলগুলোতে নেই কোন
পযটক এমনটা জানিয়েছেন কুয়াকাটার ট্যুরিজম ব্যবসায়িরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়িরা এ প্রতিবেদককে জানায়, দেশব্যাপী করোনা
ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন পযর্টকদের কুয়াকাটা ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর
ফলে নেই কোন পর্যটক। আর হোটেল-মোটেলগুলোও রয়েছে বন্ধ। এখন ঈদুল-আযহার
ছুটিতে বেড়াতে আসা ২/৪ জন সৈকতে জড়ো হলে ট্যুরিষ্ট পুলিশ ধাওয়া দিয়ে
উঠিয়ে দিচ্ছেন।

ট্যুর অপারেটর এ্যাসোশিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াকের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ
তুষার গনমাধ্যমকে বলেন, কুয়াকাটায় এখন কোন পযটক নেই। ঈদের পরে কঠোর
লকডাউন পালিত হবে এমন সিদ্ধান্ত সরকার আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়ায় এবারে এই
প্রথম ঈদের পরের দিন কোন পর্যটক আসেনি। স্থানীয় পযার্য়ে কিছু দর্শনার্থী
আসলেও ট্যুরিষ্ট পুলিশ কঠোর থাকায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কুয়াকাটার ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল খালেক
সাংবাদিকদের বলেন, বাহিরের কোন পযটক নেই। পটুয়াখালী জেলার মধ্যে কিছু
দর্শনার্থী এসেছিল। তাদেরকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং  শুক্রবার থেকে কঠোর
ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।




error: Content is protected !!