মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নবাব সহ পদ্মা মেঘনা যমুনা পাওয়া যাবে মারুফ ডেইরীতে

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২২
হাবিব হাসান  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বাসাইল ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথ গ্রামের মারুফ ডেইরী র্ফামে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে দেশীয় জাতের গবাদিপশু মোটাতাজা দুগ্ধ উৎপাদন ক্রয় বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকেন। এবার মারুফ ডেইরীতে নতুন চমক তৈরী করা হয়েছে এখানে ছোট বড় মাঝারী সব রকমের গরু কেনার সুযোগ আছে।
এ র্ফামে একজন নবাব কে পাওয়া গেছে যার দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা সাথে আরো তিনটি গরুর নাম হচেছ পদ্মা মেঘনা যমুনা এক লাখ ৫০ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত দেখে শুনে  এ ফার্ম থেকে সুলভ মূল্যে দাম করে নেওয়া যাবে , দাম শুনে বোঝা যাচ্ছে কেমন হবে গরুগুলো দেখতে। নবাব গরুটির ওজন ২৭ মন ১০৪০ কেজি, ও পদ্মা মেঘনা যমুনা গরুগুলোর  ওজন প্রায়ই ১৭,১৮,১৯ মন হবে,
 সিরাজদিখান বাসাইল ইউনিয়নের মারুফ  ডেইরী ফার্মে গরুগুলো  লালন-পালন করছেন মোঃ আবদুল । তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত নবাবের দাম উঠেছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও পদ্মা মেঘনা যমুনা দাম হেঁকেছেন ১লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, দাম উঠেছে ১লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে ১লাখ ৮০ হাজার।মোঃ শফিকুল জানান, সাদা কালো রঙের গরু নবাবের বয়স পাঁচ বছর, পদ্মা মেঘনা যমুনা কালো গরুর বয়স তিন বছর। তিনি এই গরু গুলো কে প্রাকৃতিক  খাবার সবুজ ঘাস, লতা-পাতা, খৈল, খড়, ভাতের মাড় খাইয়ে বড় করেছেন। নবাব লম্বায় ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট, আর বাকি তিন টি গরু  লম্বায় ৭ফুট  উচচতা ৪ ফুট ।
গরুগুলো খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরু গুলো  তিনি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করতে চান।
২০১৬ সালের দিকে মোঃ আবদুস সালাম মনো তার বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেন গরুর খামার। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের ৫০ টির মতো গরু রয়েছে। তবে তিনি যে গরু গুলো বিক্রির ইচ্ছে পোষণ করেছেন এই গরু গুলো  তার খামারের প্রথম বড় আকারের গরু। গরুর মালিক আরো জানান, গরুটিকে মোটা তাজাকরণের ঔষুধ ও ইনজেকশন এমন কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দেয়া পরামর্শে সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে।নবাব গরুটির পেছনে দৈনিক খাদ্যের খরচ হয় এক হাজার টাকা, প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন। ইতোমধ্যে অনেকেই গরুটি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু দাম বনিবনা না হওয়ায় এখনো বিক্রি হয়নি।
 এবারের কোরবানির ঈদে গরুর খামারিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মার্কেটিং।
এ ধরনের ষাঁড় বা দামি গরুগুলো সাধারণত ঢাকাসহ বাইরের ক্রেতারা কিনে থাকেন আগ্রহী ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে তাহার মোবাইল নাম্বার ০১৭১৩৫০৮০৫১, ০১৬২১৭৩৮৭০৫। যাতায়াতের রাস্তা হলো ঢাকা মাওয়া সড়কের নিমতলা থেকে সিরাজদিখানের রাস্তায় ইমামগঞ্জ বাজার ও বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে চরবিশ্বনাথ আবদুস সালাম মনো মেম্বার এর বাড়ি কোথায় দেখিয়ে দিবে।



error: Content is protected !!