আলী আজীম মোংলা(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
১৯৯২ সাল থেকে সুন্দরবনকে রামসার কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত জলাভূমি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জলাভূমির টেকসই ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য ১৯৭১ সালের রামসার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নানামুখি কর্মকান্ড বর্তমান সুন্দরবন বিপদাপন্ন। সুন্দরবনের জীববৈচিত্রসহ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যাগী হতে হবে। মঙ্গলবার(২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস উপলক্ষে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র আয়োজন মোংলা বাসস্ট্যান্ড মানববন্ধন ও সমাবেশ বক্তারা একথা বলেন।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলা কমিটির আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা অবনী হালদার, বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, মিনু হালদার, জেলে সমিতির নেতা নজরুল ইসলাম, ময়াল ষ্টিফন হালদার, ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলনেতা ইস্রাফিল বয়াতি, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলানটিয়ার মাহরুফ বিল্লাহ, মেহেদী হাসান বাবু, রমশ শীল, বিপ্লব মিস্ত্রি প্রমূখ। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাপা নেতা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, মৎস্য, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি। বাংলাদেশের প্রাণ জলাভূমি তথা সুন্দরবন, নদী-নালা, খাল-বিল-হাওর, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষনের কোন বিকল্প নেই। মানববন্ধন ও সমাবেশে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল কয়েকশো জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী-বনজীবি-মৎস্যজীবি নানা শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড-ফেস্টুন হাতে উপস্থিত ছিলেন।