মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী
অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বানজানা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা অর্চনা জন্য ব্যবহিত শত বছরের কালী মন্দির এখন জবর দখলের পথে।
সেই সাথে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ এখন প্রভাবশালীদের মারমুখী আচরণে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
বানজানা গ্রামের প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পত্র কালুখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও কালুখালি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার গ্রাম বাসি অদ্যাবধী শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি ও উক্ত কালী মন্দিরে পূজা অর্চনা করছি।তবে মন্দিরের অবকাঠামো দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মন্দির পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। সেই লক্ষে স্থানীয় সার্ভেয়ার এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে জমি পরিমাপ করে সীমানা পিলার বসানো হয়। তবে মন্দিরের পাশে বসবাসরত হাবু মোল্লা,উজ্জ্বল মোল্লা,হাসি বেগম, স্মিতি বেগম, আজিজ মোল্লা বুলবুল মোল্লা,সোহেল মোল্লা, আব্দুল্লাহ মোল্লা ও অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিবর্গ সীমানা পিলার তুলে ফেলে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। শুরু তাই নয় তারা মারমুখী আচরণ করে চলেছ এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমালের হুমকি প্রদর্শন করে চলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত কালী মন্দির বানজানা মৌজার বিএস ২০৭৬ দাগের ৩১ শতাংশ জমি উপর অবস্থিত। বর্তমানে মন্দিরে আশেপাশে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বসত বাড়ি ঘর হওয়ায় দিনদিন মন্দিরে জাইগা ছোট হয়ে আসছে। তবুও ওই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের জন্য নাম মাত্র জাইগার উপর মন্দির পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয় আশেপাশের লোকজন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানাযায় এখন হাবু মোল্লা তার লোকজন দিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে এবং হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে হেনস্তা করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে।
কালুখালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসার সাথে সাথে ঘটনা স্থলে তদন্ত (ওসি) আব্দুল গনি কে পাঠাই।
তদন্ত (ওসি) আব্দুল গনি বলেন, মন্দিরে নামে ৩১ শতাংশ জমি থাকলেও সরেজমিনে এখন তা নাই।আমি মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে জানিয়েছি সার্ভেয়ার দিয়ে নির্দিষ্ট সীমানা পিলার স্থাপন করে মন্দির পুনঃনির্মাণ করতে। মন্দিরে জাইগায় অন্যকারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নাই।
কালুখালি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ নুরুল আলম বলেন, আমার কাছে মন্দির কমিটি লিখত অভিযোগ দিয়েছে। তবে তারা মন্দিরের জমির রেকর্ড ফেল করেছে, এখন ওই জমি সরকারের। আমি তাদেরকে আগের সকল কাগজ নিয়ে আসতে বলছি, কাগজ দেখে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কমকর্তাকে ঘটনা স্থলে পাঠাবো।ওই জমি মন্দির ব্যতীত অন্যান্য কারো ভোগদখলের সুযোগ নাই।