লালমোহনে ইটভাটায় জ্বলছে সরকারি সৌর বাতি, পুড়ছে বনের কাঠ!

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইকবাল হোসাইন জুলহাসের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মাণ, সরকারি বেড়িবঁাধের মাটি কেটে ইট তৈরী ও মাটি বিক্রি, বন বিভাগের বিভিন্ন বাগান থেকে তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে গাছ কেটে এনে ইট পোড়নো, সরকারি সৌর বিদ্যুতের স্টীকসোলার বাতি নামে-বেনামে সৃষ্টি করে ইট ভাটায় জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামের মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও সরকারী বেড়িবাঁধের মধ্যবর্তী এলাকার প্রায় ৩ একর কৃষি জমিতে শাহ্ ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেন গজারিয়া এলাকার মো. কামাল হোসেন। এরপর শাহ্ ব্রিকসটি স্থানীয় লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইকবাল হোসাইন জুলহাসের কু-নজরে পড়ায় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইকবাল হোসাইন জুলহাস তাদের বাহিনী দিয়ে শাহ্ ব্রিকসের মালিক কামাল হোসেনকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে ইট ভাটাটি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ছেলে জুলহাস ওই শাহ্ ব্রিকসের নাম পরিবর্তন করে রওনক ব্রিকস নামে নাম করণ করে পরিচালনা শুরু করেন। এরপর শুরু হয় আশপাশের কৃষি জমি জোরপূর্বক দখল ও ক্রয় বিক্রি’র প্রতিযোগিতা। বর্তমানে রওনক ব্রিকস টি প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে ইট তৈরী করে বিক্রি করছেন। এদিকে ইট ভাটা সংলগ্ম ওয়াপদা বেড়িবঁাধের জমি ও তার পাশ থেকে মাটি খনন করে ইট তৈরী করেন। এতে করে হুমকীর মুখে রয়েছে সরকারী বেড়িবাঁাধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলকাবাসী অভিযোগ করেন, বন বিভাগের সরকারী কেওড়া গাছ বিভিন্ন বাগান থেকে তার বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে কেটে ট্রলারে করে এনে রওনক ব্রিকসে পোড়নোহয়। জনগণের জন্য দেওয়া সরকারী সৌর বিদ্যুতের স্টীক সোলার বাতি নামে ও বেনামে এনে এ ইটভাটায় জ্বালানো হচ্ছে। তোয়াক্কা করছে না পরিবেশ অধিদপ্তরে কোনো প্রকার আইন। 

তারা আরও অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের ইট ভাটা সংলগ্ম বেড়িবাঁাধের ওপর বসবাস করা অসহায়, নদী ভাঙা, গারীব, দু:স্থ ও ছিন্নমূল শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বাহিনী। চেয়ারম্যান ও তার ছেলের পালিত এসকল ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এলাকার লোকজন কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্য হামলা, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নাজেহাল করা হয়।

এব্যাপারে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার ছেলে ইকবাল হোসাইন জুলহাস তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।




error: Content is protected !!