শিবপাশায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের সরকারি গাছ সহ ডালপালা বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জের শিবপাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে অবস্হিত সরকারি গাছ সহ ডালপালা বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামূল হক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃতোফাশ্বির চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এতে করে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ের পরিবেশের সৌন্দর্য হানি তথা পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে অন্যদিকে সরকারি সম্পদ বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে।
জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জের শিবপাশার সবুজগঞ্জ বাজারের অদূরে ও বানিয়াচং – আজমিরীগঞ্জ ভায়া শিবপাশা সড়ক সংলগ্ন এলাকায় বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্হিত। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিবপাশার বং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে নানা ধরণের বনজ গাছ রোপন করা হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের পরিবেশের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশ বান্ধব ওই গাছগুলো পরিবেশকে নীরবে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে চলছে। এদিকে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামূল হক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ তোফাশ্বির চৌধুরীর কু-নজর পড়ে মূল্যবান ও গাছগুলোর উপর। গতকাল সোমবার প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামূল হক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজশে কোন রকম অনুমতি ছাড়াই ৩ হাজার টাকায় বিদ্যালয় চত্বরের সরকারি গাছ ও ডালপালা বিক্রি করে দেন একই এলাকার সাবেক ইউ,পি সদস্য মোঃ কানু মিয়ার নিকট। এদিকে সাবেক ইউ,পি সদস্য মোঃ কানু মিয়া গাছ ও ডালপালা বিক্রি করে দেন একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ তকদির মিয়ার নিকট। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামূল হক জানান, গাছ বিক্রি করা হয়নি, পরিস্কার করা হয়েছে। সাবেক ইউ,পি সদস্য মোঃ কানু মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে ক্রেতা মোঃ তকদির মিয়া জানায়, ১ টি মেরাগাছ সহ আংশিক ডালপালা সাবেক ইউ,পি সদস্য মোঃ কানু মিয়ার নিকট থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহমুদুল হক জানায়, সরকারি গাছ ও ডালপালা বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।




error: Content is protected !!