লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
কিশোর সায়েম। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বয়স মাত্র ১১। স্কুলের ছুটি শেষে বাড়িতে বাবার কাজেও সাহায্য করে। দিনমজুর বাবার সংসারে চরম অভাব থাকা স্বত্ত্বেও সায়েম স্বপ্ন দেখছে লেখাপড়া করে মানুষ হওয়ার। তবে সে স্বপ্নও এখন অনিশ্চিত জীবনের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সায়েম ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দরিদ্র দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে। গত ২৭ জানুয়ারী বিকেলে সায়েম মায়ের সাথে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মহসিন খানের চেম্বারে আসে। ১ মাস ধরে কাঁশি আর ৫ দিন ধরে কফের সাথে রক্ত পরছিল। ডাক্তার প্রথমে টিভি রোগ ধারণা করলেও পরে রক্তশূন্যতা দেখে সিবিসি টেস্ট করতে দেয়। এতেই ধরা পরে শিশু সায়েমের রক্তের ক্যান্সার ও এ্যাকিউট লিউকেমিয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৬০ হাজার টাকা খরচ করেছেন সায়েমের দরিদ্র পরিবার। নিজের মাত্র ১ হাজার টাকা সম্বল থাকলেও বাকি টাকা চড়া সুদের ওপরে দার করে খরচ করেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা শেষ না করেই লালমোহন ফিরে এসেছেন। পিজি হসপিটালে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ছেলেকে ভর্তি করাতে পারেননি হতভাগা বাবা ফারুক মিয়া । সায়েমের চিকিৎসায় কয়েক লাখ টাকা প্রয়োজন। তাকে পিজি হাসপাতালে রেখে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারলে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তবে টাকা না থাকায় তা পারছে না পরিবারটি । সায়েমের দরিদ্র দিনমজুর পিতা ফারুক মিয়া দেশের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের (বিকাশ) ফোন নম্বর: ০১৩১৯৮৫৫৬১১।