সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া পরিহার করা উচিত

প্রকাশিত: ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বামী ও স্ত্রীর ঝগড়াঝাটি, ডিভোর্স, সেপারেশন পরিহার করে চলা উচিত। কারণ সন্তানের জন্য মা-বাবা উভয়কেই প্রয়োজন।

আপনি যদি ভেবে থাকেন– আপনার টাকা-পয়সা আত্মীয়স্বজনের অভাব নেই। আপনি একাই চলতে পারবেন। হ্যাঁ, সেটি হয়তো সম্ভব হবে, তবে তা আপনার একার জন্য; কিন্তু তা কোনোভাবেই সম্ভব নয় আপনার সন্তানের জন্য। কারণ সন্তানের জন্য মা, বাবা উভয়ের বিকল্প কখনই টাকা-পয়সা হতে পারে না।

আর যদি কখনও ডিভোর্স বা সেপারেশন অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়, তবে অবশ্যই দুজনেরই সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম দেয়ার শর্তে হতে হবে। আর পৃথিবীর কোনো ধর্ম বা আইন সেটির কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।

প্রিন্সেস ডায়ানা যখন মারা যান, তখন প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। ডায়ানার শেষকৃত্য সারা বিশ্ববাসী সরাসরি দেখেছে। দেখেছে বালক প্রিন্স হ্যারির বারবার ফুপিয়ে কেঁদে ওঠা। যদিও রাজপরিবার থেকে তাকে বলা হয়েছিল না কাঁদতে।

হাসি ঠেকানো যায়; কিন্তু কান্না ঠেকানো যায় না। আর মাকে হারানোর কান্না আটকানো… প্রশ্নই আসে না! পৃথিবীর কোনো শক্তি মা হারানোর কান্না থামাতে পারে না।

মাকে হারানোর বেদনা মানুষ সারাজীবন বয়ে বেড়ায়। তাই তো এত বছর পর আজও প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘আমি ১২ বছর বয়সে মাকে হারিয়েছি। তার পর থেকে গত ২০ বছর আমার সব আবেগ-অনুভূতি স্তব্ধ হয়ে গেছে। মাকে হারানোর বেদনা আমার ব্যক্তিগত জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে’।

বর্তমান বিশ্বে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্স হ্যারী মেন্টাল হেলথ নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব।




error: Content is protected !!