সরকারি ব্যবস্থাপনায় নবম ধাপে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গারা।

প্রকাশিত: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২২

উমার রাযী, কক্সবাজার প্রতিনিধি –

নবম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্য চট্টগ্রামের পথে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় রওনা হয়েছে ২৬৪ পরিবারের আরও ৭০৫ জন রোহিঙ্গা। বুধবার ( ৫ জানুয়ারি) ২ দফায় ১৬টি বাসে তাঁদের প্রথমে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর মধ্যে বেলা ২টার দিকে ৯টি বাসে ৪১৪ জন এবং বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৭টি বাসে ২৯১ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা বলেন, নবম ধাপের প্রথম পর্যায়ে আটটি বাসে করে ৪১৪ জন রওনা দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহীদেরকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্প থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচর স্থানান্তর হবে। কাউকে জোর করে নয়, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানানোর পর যারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হচ্ছেন তাদের জড়ো করে নির্ধারিত একটি দিনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ যাত্রা চলমান থাকবে। নবম দফায় ৭ শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবার পথে রয়েছে।

উল্লেখ, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি সময় পর্যন্ত আট দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের অধিবাসী হয়েছে। এরা ছাড়াও গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

বিশস্ত সূত্রে জানা যায়, ভাসানচরে যাবার উদ্দেশ্যে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে মঙ্গলবার বিকাল থেকে সরঞ্জামসহ সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। বুধবার সকালেও আসে অনেকে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাসে ওঠা শুরু করে রোহিঙ্গারা। এরপর ১টার দিকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে প্রথম বহর চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয়। আর দ্বিতীয় বহর যাত্রা করে বিকাল সাড়ে ৪টায়। পূর্বের নিয়মে রাতে চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করবেন তারা। সেখান থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) নৌবাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে যাবার প্রস্তুতি রয়েছে।




error: Content is protected !!