সাধুরবাজারে বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১২টি গ্রামের মানুষের

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২২

সৈয়দ শাহান শাহ্ পীর || হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতাং নদী। স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলছে কিন্তু এ নদীর উপর কোনো সেতু নির্মিত না হওয়ায় আজো উক্ত উপজেলার প্রায় ১০/ ১২ টি গ্রামের মানুষকে বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভর করে চলাচল করতে হয়। এখানে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরজমিনে দেখাগেছে , উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী সাধুরবাজারের পাশে সুতাং নদীর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ। একটি সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে উপজেলার সাধুরবাজার, ভঙ্গুরহাটি, ভাদগড়ী, নয়াগাঁও, বাঘারসা, ঘোরাবই, ভাটিশৈলজুরাসহ ১০/১২টি গ্রামের মানুষ পারাপার হয়। এলাকাবাসী জানান, সাধুরবাজারে সপ্তাহে দুই দিন বিরাট হাট বসে। হাটে অনেক মানুষ দুর- দুরান্ত থেকে আসে। তাদের মালামাল মাথায় করে বহু কষ্টে সাঁকো পার হতে হয়। এছাড়াও সাঁকো সংলগ্ন স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের পারাপার করতে হয়। উল্লেখ্য, বর্ষায় মৌসুমে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। সম্প্রতি, ভঙ্গুরহাটি গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বসত বাড়ি ঘর, নগদ টাকা এবং গরু – ছাগলসহ প্রায় ২৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
দুটি ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে আসলেও সেতুর অভাবে পারাপার হতে পারেনি। যদি একটি সেতু থাকতো হয়তো এতো বড় ক্ষতি থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পেতো।




error: Content is protected !!