আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী★
হাটহাজারীতে সুপারী পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ২নারী আহতের অভিযোগ উঠেছে। রোববার(২৯নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খয়রাতি মিয়া বলির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। আহতরা হলেন, ঐ বাড়ির মোঃ আব্দুল মোনাফের স্ত্রী রহিমা বেগম(৪০) ও তার মেয়ে শারমিন সুলতানা রীমা(২৫)। সে ৯মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মোঃ মোনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
হামলার স্বীকার আহত রহিমা বেগম জানান, সকালে আমাদের জায়গায় সুপারী গাছ থেকে মোঃ নবী(৫৫), স্ত্রী খুরশিদা বেগম(৪৬) ও তার ছেলে মোরশেদ(২৬) সুপারী পাড়তে গেলে আমি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করি। হঠাৎ তাদের আরেক ছেলে খোরশেদ(২৩)সহ সবাই দা ছুরি নিয়ে আমার উপর হামলা করে। তারা ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় স্বজোরে আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যাই। পরে আমার চিৎকারে আমার মেয়ে রীমা ঘটনাস্থলে এলে তাকেও মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে খোরশেদ তার তলপেটে লাথি মারে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমাদের হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। তিনি বলেন, আমার চেয়ে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের জন্য চিন্তা লাগছে। তার প্রচুর ব্যথা করছে। চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী তাকে এন্ডোসকপিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে জানিয়ে আব্দুল মোনাফ বলেন, তারা সব সময় আমি ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দা ছুরি নিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। অথচ এক সময়ই আমিই আমাদের জায়গা সুন্দরভাবে বন্টন করে দিই। সুপারী গাছটি আমার জায়গায় হলেও তারা উক্ত জায়গা জোরপূর্বক তাদের বলে দাবি করে। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোরশেদ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুপারী পাড়া ও গাছটি কাটা নিয়ে আমার মায়ের সাথে হাতাহাতিতে রহিমা বেগম আঘাত পান। অন্তঃসত্ত্বা রীমা ঘটনাস্থলেই ছিলেন না তাহলে তলপেটে আঘাত কিভাবে আসল। ঘটনাস্থলে সবার হাতে দা ছুরি কেন প্রশ্নে প্রথমে অস্বীকার করলেও ভিডিও আছে জানালে হেসে দিয়ে বলেন, গাছ কাটতে নেয়া হয়েছিল। ঐ জায়গা আমাদের মৌরশী সম্পত্তি মোরশেদ আরো বলেন, উনি যেমন পাবেন আমার বাবাও পাবে তাহলে কিভাবে মোনাফ উনার জায়গা দাবি করেন।
মডেল থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে একজন অফিসার নিয়োগ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করে দিয়েছি।