সুবর্নচরে ভোট গণনায় অনিয়মের প্রতিবাদে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন মহিলা মেম্বার প্রার্থী!

প্রকাশিত: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
সদ্য সম্পন্ন ইউপি নির্বাচনে জেলার সুবর্ণচরের চরওয়াপদায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্যে বিলকিস সুলতানা সুরমার হেলিকপ্টার প্রতিকের ভোট গণনায় অনিয়ম, কারচুপি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪,৫ ও৬ নং ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।এর আগে ২১সেপ্টেম্বর মহিলা সদস্য পদের প্রার্থী বিলকিস সুলতানা সুরমা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও সচিব, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর গত ২০ সেপ্টেম্বর সুবর্ণচরের ৪নং চরওয়াপদার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে গণনায় অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সেসব ওয়ার্ডে লিখিতভাবে পুনরায় গণনার দাবি জানান।কিন্তু তিনি নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পুনরায় ভোট গণনার জন্য লিখিত অভিযোগ করার পরেও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়াতে হেলিকপ্টার প্রতিকের পক্ষে সাধারণ ভোটারবৃন্দ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহকারী মহিলা সদস্য প্রার্থী বিলকিস সুলতানা সুরমা সহ নারী-পুরুষের সামনে বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ভোট শুরুর সকাল ৮ আগেই ভোট গণনার বিবরণী পত্রে তার পোলিং এজেন্ট আখি আক্তারের কাছ থেকে জোরপূর্বক সহি স্বাক্ষর গ্রহণ করে নেয় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তালগাছ প্রতিকের দিলায়ারা বেগমের আত্মীয় পোলিং এজেন্ট ডাক্তার মো. কামাল হোসেন।
বিলকিস সুলতানা সুরমা আরও বলেন, ওদিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে ৪ নম্বর হাজি লাল মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রথমে ৭৭৯ ভোটে হেলিকপ্টার প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা দেয়ার পরপর তার ভোটারবৃন্দ বিজয়ী মিছিল বের করেন।
কিন্তু এর কিছুক্ষন পরে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তালগাছ প্রতিকের দেলোয়ারা বেগমকে বিজয়ী হয়। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেও তাৎক্ষনিক কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বিলকিস সুলতানা সুরমা আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভোট পুনরায় গণনার দাবি করেন। অন্যথায় নিরপেক্ষ ফলাফল ঘোষণা না করলে তিনি আত্মহত্যা করারও হুমকি দেন।
এ জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সুবর্ণচর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন দায়ি থাকবে বলে মানববন্ধনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতি সর্ববিদ্যা সাংবাদিকদের সাথে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে সুবর্নচর উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন, এ মুহুর্তে এ নিয়ে তার কিছুই করার নেই। তবে আদালতের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।




error: Content is protected !!