রাকিব উদ্দিন লস্কর ,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
১২০টাকা থেকে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে এবার হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা। রবিবার সকাল ১১ টার দিকে মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার সুরমা, তেলিয়াপাড়া, নয়াপাড়া, জগদীশপুর, বৈকুন্ঠপুর, চন্ডিছড়া, চানপুর, চাকলা পুঞ্জি, সাতছড়ি সহ মোট ৩৬ টি চা বাগানের শ্রমিকরা মাধবপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় মহাসড়কে হাজার হাজার শ্রমিক অবস্থান নিয়ে তাদের দাবীর পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকে। যার ফলে মহাসড়কের তিন পাশে শত শত যানবাহন আটকা পরে। সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজটের। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মুহসিন আল মুরাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মইনুল ইসলাম মঈন, মাধবপুর থানার ওসি মো: আব্দুর রাজ্জাক, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আতিকুর রহমান , স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হননি। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার ২৩ টি চা বাগান নিয়ে গঠিত লস্করপুর ভ্যালি’র সভাপতি রবিন্দ্র গৌড় জানান, আমরা গত বুধবার ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষের সাথে তৃপক্ষীয় বৈঠক করি। সেখানে আমাদের দাবি মানা হয়নি। পরবর্তীতে গতকাল শনিবার শ্রীমঙ্গলে আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নৃপেন পালকে চাপ দিয়ে মজুরি ১৪৫ টাকা করার চুক্তিপত্রে সই করানোর চেষ্টা করা হয়। চা শ্রমিকরা চায় তিনশো টাকা মজুরি, তারা ১ শ ৪৫ টাকা মজুরি প্রত্যাক্ষান করে আজ মহাসড়ক অবরোধ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবি দাওয়া উপস্থাপনের সময় দিয়ে ঘোষণা দিলে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করবো। না হলে রাজপথ ছাড়বো না। সহকারী পুলিশ সুপার মুহসিন আল মুরাদ জানান,’ আমরা তাদের বুঝিয়ে যানবাহন ছেড়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছে না।’ এছাড়াও বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে বলে আশ্বস্থ করলে দুপুর ২ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকরা। উল্লেখ্য মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আজ দশম দিনের মতো পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে চা শ্রমিকরা।