হিলি স্থলবন্দরে সিন্ডিকেটের হাতে পাথর ব্যবসা, ক্রেতা দিশেহারা, পুঁজি হারাচ্ছে ছোট ছোট আমদানিকারক
রবিউল ইসলাম সুইট, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ভারত থেকে পাথর আমদানি । আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বেড়েছে পাথরের দাম,
প্রতি টনে বেড়েছে ৮শ থেকে ৯শ টাকা। কিছু আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িছে বলছেন বন্দরের অন্য আমদানিকারকরা।
করোনা ভাইরাসের কারনে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও গত ৮ই জুন আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও পাথর আমদানি শুরু হয় ১৫ই জুন থেকে। তবে এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি কমে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাথর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরী করে প্রতি টন পাথরে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ৮শ থেকে ৯শ
টাকা। এখন প্রতিটন পাথর বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ থেকে ৩৯শ টাকা দরে। এদিকে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচা-কেনা করতে সমস্যা হচ্ছে সাধারন ব্যবসায়ীদের। নতুন করে আমদানি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বেশ কিছু আমদানিকারক।
স্থানীয় কয়েক জন পাথর আমদানিকারক জানান, করোনা ভাইরাসের ফলে লকডাউন ঘোষণার আগে আমরা ভারতে থেকে আমদানির জন্য পাথরের অনেক এলসি করেছিলাম। কোরনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কারনে সেগুলো আনতে
পারিনি। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবারও হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হলেও কিছু আমদানিকারক ও ভারতীয় রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাথর আমদানি করলেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তারা আরো জানান, ভারত থেকে পাথর আমদানি করতে পারছে গুটি কয়েক আমদানিকারক। সিন্ডিকেট করায় ব্যবসা চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। আর সুযোগ বুঝে তারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বন্ধের আগে যে পাথর গুলো আমরা ২৯শ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন তাদের সিন্ডিকেটের কারনে সেই পাথর বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ থেকে ৩৯শ টাকা প্রতি টনে।
এ বিষয়ে কথা হয় বগুড়া থেকে পাথর কিনতে আসা শফি মাহমুদের সাথে তিনি বলেন হঠাৎ করে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে দাম বাড়ালে আমাদেরকে পথে বসতে হবে।
হিলি কাষ্টমস সুত্রে জানা যায়, ১৫ই জুন থেকে ১২ কর্মদিবসে ২৮ হাজার ৬২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে যা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২শ ৪৮ টাকা ।