অপরাধ প্রমান করতে পারলে যে কোন শাস্তি মেনে নেব – কাদের মির্জা।

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২১

মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজি অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন হত্যকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।শনিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মির্জা এ দাবি করেন। এসময় তিনি বলেন, তদন্তে যদি তিনি বা তার কোন কর্মীর অপরাধ প্রমাণ হয়, তাহলে যে কোন শাস্তি মেনে নিবেন।
কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিনে তার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যেক নেতাকর্মীর বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করছে। এখানে সবকিছু এক তরফা হচ্ছে। প্রশাসনও তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে প্রশাসন।তিনি আরো বলেন, তিনি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও তার নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যত চাপই আসুক, তার শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা অবস্থায় তিনি তার অবস্থান থেকে সরবেন না।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদেরের সঙ্গে জেলা ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের বিরোধে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চাপরাশিরহাটে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এরপর ৯ মার্চ বসুরহাট রুপালী চত্বরে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ চলাকালীন সময় কাদের মির্জার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে রাত ১০টায় বাদলের অনুসারীরা বসুরহাট পৌর ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়। যাদের মধ্যে অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




error: Content is protected !!