নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে খাদ্য শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ উপজেলার কৃষকরা বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করে আসছে। এর পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করতেও ভুলে না তারা।এবারও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ভালো রবিশস্য হয়েছে। রবিশস্যর বাম্পার ফলন পাওয়ায় অনেক খুশিতে রয়েছে উপজেলার কৃষকরা। বোরো ধানের চারারোপণ কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন ফসলি মাঠের দিকে তাকালেই দেখা যাবে অপরূপ সবুজের সমারোহ। যা দেখলেই প্রাণ ভরে যায়। অপরূপ সবুজের সমারোহ দেখতে কতো যে ভালো লাগে তা দেখলেই বুুুঝা যায়। উপজেলা কৃৃষি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দুুুধ-দানা গঠনের মধ্যদিয়ে ধানের গাছ গামর হবে। ইতোমধ্যেই ফসলি জমিতে আগাছা দমনের কাজ পুরোদমে চলছে। বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যয়বহুল হলেও লাভের অংকটা অনেক বেশি রয়েছে। যে কারণে কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ চালিত গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হয়। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তাই ফসলি জমিতে পানি সেচ দিতে কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এ বিষয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ফসলি জমিতে পানি সেচ দিতে যেনো কোনো সমস্যা না হয় সেদিকটা আমরা সবসময় মাথায় রেখে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, উপজেলার কৃষকরা ধান ও রবিশস্যসহ সবধরনের ফসল উৎপাদনে পারদর্শী। তারপরও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি এবং বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করে আসছি। বোরো ফসলি জমির চিত্র দেখে আশাকরি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আল্লাহর রহমতে এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলার হাটুয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক সুশান্ত কুমার সরকার শান্ত জানান, বোরো ফসলি জমিতে আগাছা দমন কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই ধানের গাছ গামর হবে। ফসলি জমির অবস্থা খুব ভালো। তাই আশাকরি এবারও বোরো ধানের ফলন ভালো হবে। ধানের ফলন ভালো হলে কৃষকরা উপকৃত হয়।