চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাটে স্বামী পরিত্যক্ত সুন্দরী নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে নিয়মিত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তার ঘরে যেতেন চুনারুঘাট হাসপাতালের আরএম ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী (৩৮) ।
বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বার কয়েক ধর্ষন করেন বলে জানান ভিকটিম ওই মেয়েটি।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পৌর শহরের উত্তর বাজার ওই নারীর ভাড়াটে বাসায় ধরা পড়ার পর তাকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখে স্থানীয়রা।ওই সময় সুন্দরি যুবতী ইজ্জতের ভয়ে আটক ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা না করায় তাকে পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল হান্নানের জিম্মায় দিয়ে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংশা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু ২দিন পার হলেও কোন প্রকার সন্তোষ জনক বিচার না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলার বাসুল্লা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত
এক সুন্দরী নারী (২২) পৌর শহরের উত্তর বাজার বাসায় ভাড়াটে থাকেন।ওই নারী প্রায় সময় চিকিৎসার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করতেন ডাক্তার মোমেনের সাথে। এ সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায় ডাক্তার মোমিন উদ্দিন সুন্দরী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূর বাসায় দৈহিক সম্পর্কে জড়ালে পৌর কাউন্সিলর হান্নানের বড় ভাই আব্দুল অাউয়াল টের পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করেন। উপস্থিত জনতা তাকে উত্তম মাধ্যম দেন।। পরে স্থানীয়রা ডাক্তারের পরিচিতদের খবর দিলে তারা উদ্ধার করেন নিয়ে যান।
এক বছর পুর্বেও হাসপাতালের এক নার্সের সাথে লিভটুগেদারে ধরা পড়েন ওই ডাক্তার। এ বিষয়ে চুনারুঘাট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হক ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক কাউন্সিলরসহ স্থানীয়দের পাঠিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি।
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন ভিকটিম নিজে এসে অভিযোগ দিয়েছে।তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভিকটিম বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ডাক্তার মমিন কয়েকবার ধর্ষন করেন।বিয়ের জন্য চাপসৃষ্টি করলেই তিনি বিভিন্ন হুমকি দেন।