নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোলের মেরুদণ্ড কাস্টমস হাউস, বেনাপোল। এই বন্দর দিয়েই দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কিছু সমস্যার কারণে চরম হুমকির মুখে রয়েছে এই বন্দর। দিনদিন ব্যবসায়ীরা এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে রাজস্ব আদায়ে যেমন ঘাটতিতে রয়েছে কাস্টমস তদরুপ এজনপদের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা রয়েছেন হুমকির মুখে।
কাস্টমসে নানা সমস্যার মধ্যে সাধারণ সমস্যা কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য এবং ব্যবসায়ী হয়রানি। বেনাপোল কাস্টমসের সিএন্ডএফ কর্মচারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এমন অসংখ্য ঘুষ বাণিজ্য এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন জেসি নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে।
বেনাপোল কাস্টমস সেক্টরে কাজ করেন এমন একাধিক সিএন্ডএফ স্টাফ বলেন, আমরা কাস্টমসে আরো গ্রুপে কাজ করি কিন্তু গ্রুপ-২ এর জেসি ম্যাডাম নুসরাত জাহানের মত আর কোথাও এত ঘুষের টাকা দেওয়া লাগেনা। শুধু তাইনা ফাইলটা ছাড় করিয়ে নিয়ে পার্টির কাছ থেকে টাকা তুলে তারপর যে ওনার বিলটা(ঘুষ) দেবো, সেটাও তিনি মানেন না। জেসি ম্যাডামের কথা আগে আমার টাকা দাও তারপর ফাইলে সই, কোন বাকি হবেনা।
এবিষয়ে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী জামান বলেন এই নুসরাত জাহান যে শুধু টাকা নেই তা নয়, ইনি যেটা স্যামপল দেখেন সেটাই নিয়ে নেন। টাকা না দিলে নানা নোট লিখে দেয়। ওনার পিএ সাদীক নানা ভয় দেখিয়ে কৌশলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে।
এবিষয়ে আমদানীকারক সাব্বির হোসেন রুম্মান বলেন, আমি আগে বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানী করতাম কিন্তু এখন এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে অন্য বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করি।
এবিষয়ে জেসি নুসরাত জাহান বলেন, আমি আপনার এবিষয়ে কোন বক্তব্য দেবোনা। আমি এমন কোন কাজের সাথে জড়িত নয়, দেখুন আমার সামনে কত ফাইল এগুলো অতি দ্রুত দুপরের মধ্যে সব ছাড় হয়ে যাবে। আমার নামে এসকল মিথ্যাচার কারা করেছে সেটাও আমি সব জানি।
পাশ থেকে জেসি নুসরাত জাহানের পিএ সাদীক বলেন, আপনি এবিষয়ে বা আমাদের যেকোন বিষয়ে সাংবাদিক মহাসিন মিলনের সাথে কথা বলেন। কি কথা বলবো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনিও তো সাংবাদিকতা করেন আর মহাসিন মিলন তো কাস্টমস সাইড দেখেন উনিও সব জানেন এখানে এমন কাজ হয় কিনা। নিউজের আগে ওনার সাথে কথা বলে নিয়েন।