আজমিরীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে টাকার বিনিময়ে ঔষধ বিক্রির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি-
আজমিরীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে টাকার বিনিময়ে সরকারি ঔষধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের মালী বিল্লাল মিয়ার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কৌশলে বিল্লাল মিয়া সরকারী ঔষধ বিক্রি করে আসছেন বলে একাদিক সুত্রে জানা যায়।আজ সোমবার সরজমিনে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সামনে গেলে ঔষধ বিক্রির ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
জানাযায়,
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় যাবৎ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে বিল্লাল মিয়া মালী পদে চাকুরী করার সুবাদে স্হানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় ও হতদরিদ্র রোগীদের নিকট থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারি ঔষধ বিক্রি করে আসছেন বিল্লাল মিয়া। মালী পদে চাকুরী করলেও তিনি বিভিন্ন সময় বহিঃবিভাগে ঔষধ বিতরণের দায়িত্ব পালন করেন। আজ সোমবার দুপুর অনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে আসা এক মহিলা রোগীর সাথে আলাপকালে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) তিনি জানান-বিগত কয়েক বছর ধরে উনার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ঔষধ বিল্লাল মিয়ার কাছ থেকে নেন তিনি । বিনিময়ে বিলাল মিয়াকে চা -নাস্তার জন্য কখনো ২শত কখনও বা ৩শত টাকাও দেন। টাকা না দিলে হাসপাতালে ভালো ঔষধ পাওয়া যায়না বলেও জানান তিনি। এসময় ঐ মহিলার হাতে থাকা ব্যাগে এন্টিবায়োটিক সহ বিভিন্ন রকমের প্রায় হাজার খানেক টাকার ঔষধ দেখা যায় ।
এ বিষয়ে মুটোফোনে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সেের ষ্টোর কিপার শাহজাহান মিয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন – বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই,বিলাল মিয়া মালী পদে চাকুরী করলেও তিনি বহিঃ বিভাগে ঔষধ বিতরণের দায়িত্বে আছেন।
এবিষয়ে বিলাল মিয়ার সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে টাকার বিনিময়ে ঔষধ বিক্রির বিষয়টি সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্হ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন বলেন –আমি বিগত সপ্তাহ খানেক পুর্বে আজমিরীগঞ্জে যোগদান করছি। গতকালও এমন একটি বিষয় আমি শুনেছি,বিষয় গুলো আমি খতিয়ে দেখব।যদি কেউ এহেন কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তাহলে, আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করব।