আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারা গুচ্ছগ্রামের সরকারী পুকুর থেকে জোড়পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ মারায় । এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজমিরীগঞ্জ ০১ নং সদর ইউ/পির আওতাধীন কুশিয়ারা গুচ্ছগ্রামের অনুমোদন দেয় সরকার গুচ্ছগ্রামের কাজ শেষ হলে ও দীর্ঘ সময় পরে একটা ক তালিকার অযুহাতে সদর ইউনিয়নের লোকদের বাদ দিয়ে অন্যান্য এলাকা থেকে তালিকা করা হয়।এরই প্রতিবাদে উপজেলার সামনে এলাকার ভূমিহীনরা মানবন্ধন করেন।নানান গুঞ্জন, ক্ষোভ শেষ হওয়ার আগেই আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী (পি.আই.ও) তিনি আজ ১২/সেপ্টেম্বর /২০২০ ইং তারিখে গভীর রাতে জেলেদের দিয়ে পুকুরে বের জাল দিয়ে মাছ মারে এবং সকাল অনুমানিক ৭টার সময় পার্শ্ববর্তী উপজেলায় বানিয়াচুং এ মাছ গাড়ি করে বিক্রী করতে পাঠায়।এলাকাবাসীর ধারনা প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ পাচার করেন পি.আই.ও।

এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, ০১ নং সদর ইউনিয়নের কুশিয়ারা গুচ্ছগ্রাম নির্মানের সময় প্রায় দেড় একর জায়গায় একটি পুকুর নির্মান করা হয়।বর্তমান মৌসুমে অকাল বন্যায় পুকুর টি ডুবে যায়,উক্ত পুকুরে গুচ্ছ গ্রামের অসহায় বসবাস কারী পরিবার মিলে মাছ আটকানোর জন্য কাটা দিয়ে রাখেন। এতে লোভ পড়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা পিআইও মোহাম্মদ আলীর,তিনি জেলেদের দিয়ে গত সারা রাত্র পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরেন।

এতে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দিলে ও তাতে কোন কর্ণপাত করেনি পিআইও মোহাম্মদ আলী। সকালে মাছ বানিয়াচংয়ে বিক্রি করার জন্য পাঠিয়ে দিতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন।তাতে নানান হুমকি দেয় পি আই ও মোহাম্মদ আলী।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকাবাসীরা জানায়,গত রাতেই পি আই ও কয়েকজন জেলে নিয়ে আসে এবং পুকুরে জাল ফেলে মাছ মারে এবং সকালে অনেকে জিগাসা করলে ভয় দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এলাকার গরিব জেলেরা অনেকেই মাছ মারতে গেলে পিআইওর হুমকির শিকার হয়।
পি আই ও নিজে তাদের কে জাল পুড়ে দেওয়ার এবং আইনের লোক দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ার হুমকি ধমকি দেয়।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কিছু জেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আসছিলেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পি আই ও কে আমরা অনুরোধ করছি, আমরা গরিব মানুষ মাছ মেরে খাই। আমাদের পেটে লাত্তি দিয়েন না স্যার। আপনি সরকারি লোক আপনার বেতন আছে, আমরা এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা খেতে পারি না।আপনি দয়া করে আমাদের এত বড় ক্ষতি কইরেন না।
কিন্তু পি আই ও তাদের উপর আরো রেগে যায়। তিনি বলেন বেশি কথা বললে পুলিশ এনে তুদের ধরিয়ে দেব।

পি আই ও মোহাম্মদ আলী জানান, উপজেলায় আমরা মাছ মারছি। আমাদের তত্ত্বাবধানে এখন ও গুচ্ছগ্রাম আছে, আমরা ছাড়া কেউ মাছ মারতে পারবে না।

এ ব্যপারে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়।এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাস সাংবাদিকদের জানায়- প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী গত রাতে মাছ ধরে সকালে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আমাকে ফোনে জানায়,আমি ইউএনও স্যারের(মতিউর রহমান খান) সাথে এ বিষয়ে কথা বলছি তিনি ও জানেন না এমন কি আমাকে ও জানায়নি,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সরকারী জলাশয় থেকে মাছ ধরার এখতিয়ার নেই,এ বিষয়ে আমি সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করবো।




error: Content is protected !!