আজমিরীগঞ্জে দ্বিতীয় বারের মত কুশিয়ারার, কালনী,ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বৃদ্ধি তলিয়ে গেছে ৫০ ভাগ বীজতলা
নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জে দ্বিতীয় বারের মত কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে উপজেলার কৃষকদের ৫০ ভাগ বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
জানা যায়,
গত দেড়মাস পূর্বে অতিবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দেশের অন্যান্য সদ-নদীর মত আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার কালনী,ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বিপদসীমার সর্বোচ্চ ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে নদীর পানি উপচে নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া উপচে যাওয়া পানি ব্রীজ,কার্লভার্ট, খাল ও নালা দিয়ে সংলগ্ন হাওরে প্রবেশ করে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতভিটা ও বসতঘর সমূহ অকাল বানের পানিতে তলিয়ে যায়। বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া লোকজন তল্পিতল্পা ও গবাদিপশু সহ উঁচু স্হানে আশ্রয় নেয়। অতঃপর বেশ কিছুদিন পর থেকে বানের পানি কমতে শুরু করে।
উপজেলার কৃষকরা চাষাবাদ করার প্রাথমিক কাজ হিসেবে বীজতলা তৈরি করতে শুরু করে। এদিকে,
দীর্ঘ দেড়মাস পর অর্থাৎ সম্প্রতি আবারও টানাবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দেশের অন্যান্য স্হানের ন্যায় আজমিরীগঞ্জেও দ্বিতীয় বারের মত কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি গত কয়েকদিনে অন্ততপক্ষে দেড়ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার কৃষক সম্প্রদায়ের তৈরি করা বীজতলার ৫০ ভাগই ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। এতে করে একদিকে যেমন কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে কৃষকদের ঘাম ঝড়ানো শ্রম বিফলে গিয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি ঁঅব্যাহত থাকলে কৃষকদের শতভাগ বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংখা করছে উপজেলার কৃষক সম্প্রদায়।