আজমিরীগঞ্জে গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগে মহসিন মিয়া(২২) নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার ৩ নং জলসুখা ইউনিয়নের পাঠুলীপাড়া (ড্রেনের হাটী) এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার(১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া ড্রেনের হাটী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনায় শনিবার(১২ সেপ্টেম্বর) ধর্ষনের স্বীকার ওই গৃহবধু বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষনের স্বীকার ওই গৃহবধু বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রয়েছেন।
আটককৃত মহসিন মিয়া উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার এলাকার আজমান মিয়ার পুত্র।
জানাযায়, জলসুখা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের আজমান মিয়ার পুত্র মহসিন একই এলাকার পাঠুলীপাড়া গ্রামে বিয়ে করে ৷ বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ীতেই বসবাস করে আসছে ধর্ষক মহসিন ৷ শশুর বাড়ীতে থাকার সুবাদে
ধর্ষিতা গৃহবধুর স্বামীর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে মহসিন ৷ বন্ধুত্বের সুবাদে প্রায় সময়ই ধর্ষিতার বাড়িতে যাওয়া আসা করতো ধর্ষক মহসিন ৷
বিগত কিছুদিন পুর্বে গৃহবধুর স্বামী জীবিকার তাগিদে ঢাকা চলে যায় ৷ এই সুযোগে ধর্ষক মহসিন গত শুক্রবার( ১১ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৬ টায় গৃহবধুর বসতঘরে প্রবেশ করে, ঘর খালি থাকায় মুখে গামছা পেচিয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ করে ৷ বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথমে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় ধর্ষক মহসিনের শশুরহাড়ীর লোকজন ৷ পরে উক্ত বিষয়টি নিয়ে পাটুলীপাড়ায় দুই গ্রপে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ এসময় স্হানীয়রা থানায় খবর দিলে এস আই জয়ন্ত তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাঠুলী পাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মহসিন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ৷
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন – এ বিষয়ে ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধু বাদী হয়ে একটি মামলা ধায়ের করেছেন৷ ধর্ষককে আঠক করা হয়েছে এবং গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ৷