আজমিরীগঞ্জে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপনের দাবি উপজেলাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি- হবিগঞ্জ জেলার ভাটিবন্দর বলে খ্যাত আজমিরীগঞ্জ উপজেলা।উপজেলা সদরে ছিল স্টিমার স্টেশন,ছিল ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র।কালের বিবর্তনে অতীত ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।দেশ স্বাধীনের অর্থাৎ ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা সংগ্রামের পর তেমন কিছুই গড়ে উঠেনি ওই উপজেলায়। তাই আজমিরীগঞ্জে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির প্রায় ৬ বছর পর হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। আইনটি পাস হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলাবাসী খুবই খুশি। হবিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ওই জনসভায় প্রয়াত সংসদসদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হবিগঞ্জে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন। এদিকে
গত ২৩ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল উত্থাপন করেন। বিলের ৩ দফার ১ উপ-দফায় বলা হয়, ‘এ আইনের বিধান অনুযায়ী হবিগঞ্জ জেলায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে। এরপর বিলটি পরীক্ষাপূর্বক সংসদে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ২৫ আগস্ট স্থায়ী কমিটির সভায় বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষার পর কয়েকটি সংশোধনী সুপারিশ করে সংসদে পাঠানো হয়। সুপারিশের ৫ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়, বিলের দফা ৩ এর উপ-দফা (১) এর প্রথম লাইনে উল্লিখিত ‘হবিগঞ্জ জেলায়’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হবে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি সংশোধিত আকারে সংসদে উপস্থাপন করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ইতিমধ্যে আইনটি কার্যকর হয়েছে।
আইনে ‘হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করায় হবিগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির অ্যাডভোকেট তার এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে প্রশংসিত হচ্ছেন।
এদিকে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সোমবার তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তার নির্বাচনী এলাকা নাগুরায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
সাংসদ আব্দুল মজিদ খান অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘সংসদীয় কমিটি আইনটি পরীক্ষাকালে দফা ৩ এর উপধারা ১ এ হবিগঞ্জ জেলায় শব্দের পরিবর্তে হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থাপিত বিলের অনুরূপ হবিগঞ্জ জেলায় শব্দগুলো পরিবর্তন করা না হলে জেলার অভ্যন্তরে উপযুক্তস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা যেত। ’এদিকে
,হবিগঞ্জ শহরের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচার করলে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা উচিত। যেভাবে শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে সেটি বিবেচনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান হচ্ছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌর সভাধীন উপজেলা পরিষদের অদূরে বাইদ্যবিলে পর্যাপ্ত ভূমি ও শিক্ষার পরিবেশ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সবকিছুই সেখানে অনুকূলে রয়েছে। এ ছাড়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন বাাানিয়াচং,কিশোরগঞ্জের ইটনা,মিটামইন,সুনামগঞ্জের শাল্লা, ও নেত্রকোনার খাাালিয়াজুরি অবস্হিত। তাই হবিগঞ্জের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী আরও ৩ জেলার বাসিন্দারা সুুুবিধা ভোগ করবে।এ ছাড়া কৃষি নির্ভর হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ কৃৃৃষক। আজমিরীগঞ্জের বাইদ্যাবিলে অনুুমানিক প্রায় ১০ একর সরকারি জায়গা সহ কয়েক’শ একর কৃৃৃষিজমি রয়েেছ। যা সারা বছর জলাবদ্ধ অবস্হায় থাকে। তা অধিগ্রহণ করে, অচিরেই আজমিরীগঞ্জে ” হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ”
স্হাাপনের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী।