আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

অপরাধ ডেস্কঃ
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার বিরুদ্ধে ভূমি কর আদায়ে এলাকার লোকজনের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে সেবা নিতে এসে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার এ অভিযোগ নতুন নয়, টাকা না দিলে ভুমি অফিসে মিলে না কোন ধরণের সেবামূলক কার্যক্রম। বিগত ১৮ আগষ্ট বুধবার দুপুর আনুমানিক ২ টায় উপজেলা ভুমি অফিসে কর দিতে এসে এমনি হয়রানীর শিকার হয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দা মোঃ ফয়েজ মিয়া । ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের রসিদ প্রতি ৩ শত টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নিলেও রশিদে তা উল্লেখ করেন না ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হতে হয় বলেও জানান অনেক ভোক্তভোগী। ভোক্তভোগী মোঃ ফয়েজ মিয়া পৌরসভার আজিমনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মানিক মিয়ার পুত্র।
বিগত ১৮ আগষ্ট বুববার দুপুরে
আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা ভোক্তভোগী মোঃ ফযেজ মিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার এই অভিযোগ আনেন। এছাড়াও উপজেলার অনেকেই উপজেলা ভূমি অফিসে বিভিন্ন কাজের জন্য জনসাধারণকে অযাচিত হয়রানির করা এবং অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভুমি সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন ভুমি অফিস গুলোতে সেবা নিতে গেলে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মরত অনেকেরই
বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। নানা ধরণের হয়রানির কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে নীরবে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করেন বলেও জানাযায়।
এ বিষয়ে ভোক্তভোগী মোঃ ফয়েজ মিয়া জানান, বিগত ১৮ আগষ্ট বুধবার দুপুর অনুমানিক ১২ টায় নিজ নামীয় কৃষিজমির কর পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে যায়। সেখানে গিয়ে ভূমির কর কত জানতে চাইলে, প্রধান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, ১১হাজর ৯শত টাকা বলে জানান। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করার পর রশিদ চাইলে, প্রধান সহকারী একটি রশিদ দেন। এতে ভূমি কর বাবদ ৯ হাজার ৫ শত টাকা উল্লেখ করা হয়। তখন ১১হাজার ৯শত টাকার স্হলে রশিদে ৯ হাজার ৫ শত টাকা উল্লেখ কেন, জানতে চাইলে উনি বলেন এটাই নিয়ম,কাজ করতে হলে বড় স্যারদেরকে টাকা দিতে হয়। তাই অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি।এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার কাছে স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা, রশিদের বাইরে অতিরক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে কেন? জানতে চাইলে, প্রধান সহকারী ইব্রাহিম মিয়া অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।পর টাকা হাতিয়ে নেয়ার ভিডিও ক্লিপটি ভোক্তভোগী এবং উপস্হিত গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে বললে, ভূমি অফিসে অবস্থানরত হিমেল চৌধুরী নামে এক দালাল বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ভিডিও ক্লিপটি স্হানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে ।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম জানান, আমি বিষয়টি দেখতেছি। এই ব্যাপারে যদি কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্হা নিব।এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোছাঃ সুলতানা সালেহা সুমি জানান, রশিদের বাইরে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই বিষয়টি আমি দেখতেছি।সূত্র জানায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার মালিকাধীন হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে। যার অনুমানিক মূল্য কোটি টাকা।




error: Content is protected !!