আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকায় হতদরিদ্র লোকজনদের ভি,জি,এফ এর চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড়
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি;
আজমিরীগঞ্জ পৌর সভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডে অর্থ্যাৎ সমীপুর, জগৎপুর ও কুমারহাটির হতদরিদ্র লোকজনদের ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড কমিশনার প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র লোকজনের মাঝে পৌরসভার বরাদ্দকৃত চাল গত মঙ্গলবারের মধ্যে ভি,জি,এফ এর চাল বিতরণের কথা। পৌর সভাধীন ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮ টি ওয়ার্ডের লোকজনের মাঝে ইতিমধ্যে ভি,জি,এফ এর চাল বিতরণ করা হলেও, শুধুমাত্র ১ টি অর্থাৎ ৯ নং ওয়ার্ডে চাল বিতরণ করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার সকাল অনুমানিক ১১ টায় পৌর এলাকার জগৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়ার্ড কমিশনার প্রদীপ রায় ভি,জি,এফ এর চাল বিতরণেরর আয়োজন করে।উক্ত চাল বিতরণে ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপজেলা বি,আর,ডি,বি কর্মকর্তা মোঃ সোহেল মিয়া উপস্হিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্হিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসারের সহিত মোবাইল এ যোগাযোগ করা হলে, উনি চাল বিতরণের কোন বিষয় তার জানা নাই বলে জানান। এ ছাড়া সরজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ড কমিশনার প্রদীপ রায়,নিজেদের লোকেদের সাথে নিয়ে সরকারি চাল বিতরণ করছে। জনপ্রতি হতদরিদ্র লোকেদের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলে তাদের দেড় থেকে পৌণে ২ কেজি করে ওজনে কম দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভূগীরা। উক্ত ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী লোকজনদের সাথে আলাপকালে, ওই ওয়ার্ডের কুমারহাটির বাসিন্দা জুনু রায়ের পুত্র লক্ষণ রায়কে সাড়ে ৮ কেজি, তপন রায় চৌধুরীকে সাড়ে ৮ কেজি, বিরেন্দ্র দাসকে ৮ কেজি ২’শ গ্রাম, স্বাধীন রায়ের পুত্র সাগর রায়কে ৮ কেজি ৯’শ গ্রাম সমীপুরের কালাচাঁন রায়ের পুত্রকে ৮ কেজি ২’শ গ্রাম, গোপল চক্রবর্ত্তীকে ৯ কেজি ১ গ্রাম,, সুবল রায়কে ৮ কেজি ৫’ শ গ্রাম, রানা রায়কে ৮ কেজি ৭’শ গ্রাম করে বিতরণ করা হয়েছে। ভূক্তভূগীরা জানায়, ওয়ার্ড কমিশনার প্রদীপ রায় ওজন না করে বালতি দিয়ে মেপে ওজনে কম দিয়ে বিতরণ করছে। বিষয়টি পৌর প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে ওয়ার্ড কমিশনার প্রদীপ রায় এ ব্যাপারে উপস্হিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, আপনারা যা পারেন লেখেন।
এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।