আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়কের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার বেহালদশা,জন-দূর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিনিধি- আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়কের দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশা। ওই রাস্তায় জন-দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জ – বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়কের দৈর্ঘ্য অনুমানিক ১০ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার। ওই রাস্তা নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে বেশ কিছুদিন পূর্বে টানাবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আজমিরীগঞ্জের কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে নদীর পানি উপচে ব্রীজ, কার্লভার্ট, নালা সহ রাস্তার উপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী হাওরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া এলাকার নিম্নাঞ্চলের বসতভিটা সমূহ অকাল বানের পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে হাওরে প্রচন্ড বাতাসের তোড়ে সৃষ্ট ঢেউয়ের আঘাতে আজমারীগঞ্জ হইতে শিবপাশা সড়কের গাইডওয়ালের উপর ব্লক সরে গিয়ে নীচের মাটি ক্ষয় হয়ে যায়। এতে করে রাস্তার উভয়পাশে খানে খানে পিচঢালাই দেবে গিয়ে খানা-খন্দকে পরিণত হয়। একই সময়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া অংশে তাৎক্ষনিক ভাবে মাটিিভর্তি বস্তা ফেলে মেরামতের ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন। এরপরও রাস্তার দু’পাশ জুড়ে রয়েছে খানা-খন্দকে পরিপূর্ণ। যা দ্রুত সংস্কার করা অতীব জরুরী। এদিকে একই অর্থাৎ ১০ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এলাকার পশ্চিমবাগ বড় ব্রীজ থেকে শিবপাশা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার রাস্তা কয়েক বছর পূর্বে এর ঢালাই ভেঙ্গে খানা-খন্দকে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ওই রাস্তার দরপত্র আহবান করা হয়। এর প্রক্কালন ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজর ১৩৪ টাকা। কাজের দ্বায়িত্ব পান মোঃ মর্তুজা হাসানের ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। অনুমানিক গত ১০ মাস পূর্বে ওই রাস্তার ৩ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার অংশে কংক্রিট, বালু ফেলে মেগাডাম করা হয়। তবে গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন মাসে রাস্তা নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি তা হয়নি। সম্প্রতি অর্থাৎ কিছুদিন পূর্বে শিবপাশার সবুজগঞ্জ বাজারে বালু ফেলা হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদামাটি ও পানিতে একাকার হয়ে যায়। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন সহ লোকজন চলাচল করে থাকে। কাদা-পানির কারণে বাজারে আসা লোকজন, পথচারী সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই ওই রাস্তা অচিরেই সংস্কারের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী।