আজ আন্তর্জাতিক নার্স দিবস

প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০

অপরাধ ডেস্কঃ আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবাকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জন্মদিন ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন করা হয়।বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের যুব সমাজকে বললেন,এ এক মহান পেশা । সারাবিশ্বের মানুষকে সেবা করার এক অনন্য মাধ্যম এই নার্সিং । নার্সিং একটা সেবামূলক পেশা । বিশ্বের হাজারোও পেশার ভিড়ে এই পেশাটি এখন দিনে দিনে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিশ্বের প্রতিটি দেশেই নার্সের চাহিদা রয়েছে।” নার্স মানেই মনে সাদা, পোষাকে সাদা আচরন ও কর্মে সাদা ” । সবকিছুতেই যেন সাদার সমাহার । শান্তির প্রতীক এই সাদাকে তাঁরা মনে, মননে ধারন করে জীবন / যৌবনকে উৎসর্গ করেন সাদার ভুবনে ।সেবাই তাঁদের মূল ধর্ম, সেবাই তাঁদের ব্রত । রাত নেই, দিন নেই সংসার, পরিবার, সন্তানের মায়াকান্না তাঁদের সেবাধর্মী মনের কাছে অবহেলিত ও তুচ্ছ। সন্তানের প্রাপ্য ভালবাসা টুকু দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন সাদা পোষাকের নারীরা।রোগীরা বেশী সেবা পাবার আশায় ক্লিনিক কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হন । অসুস্থ ব্যক্তির ঔষধের পাশাপাশি সেবাও অতিজরুরী । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ( পিজি) এক বক্তৃতায় বলেছিলেন , দেশে দক্ষ নার্স তৈরী করতে হবে । বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি নার্সদেরকে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেছেন।বর্তমান সরকারের সাহসী উদ্যেগে বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারীভাবে মেধা ও জ্যেষ্ঠাতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের রোগ নিরাময়ে ওষুধের আগে দক্ষ ডাক্তার ও যোগ্য নার্সের বিকল্প নেই। রোগ ও রোগীর সত্তা ও আত্মা দুইয়ের মাঝে সুনিবিড় সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে একমাত্র নার্সরা। যান্ত্রিক সভ্যতার বদৌলতে নগর কেন্দ্রীক জীবনে বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে রোগ বালাই, তৈরি হচ্ছে নানা নতুন নতুন রোগ, আর আবিষ্কার হচ্ছে নানা মেডিসিন। রোগ নিরাময়ে মেডিসিনের ভূমিকা ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকলেও যোগ্য নার্সের বিকল্প নেই। এখন সময় নার্সিং পেশার দেশে-বিদেশে এ পেশার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই নার্সিং পেশা নিয়ে কূপমন্ডুকতা, কুসংস্কার ও অপপ্রচারের সুযোগ আর নেই। দেশে-বিদেশে এ পেশার সুযোগ মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নার্সের যে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি হয়েছে সেই সুযোগ বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারলে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে জনশক্তির রফতানি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিল্পব তৈরি হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে বাংলাদেশী নার্সের চাহিদা অনেক বেশি। নার্সিং শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে আধুনিক বিশ্বের যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানে নার্সিং পেশা বিপ্লব তৈরি করবে এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশে নার্সিং পেশা এখন জয়জয়কার অবস্থা। নার্সিং পেশা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদা লাভ করার মধ্যদিয়ে এ শিক্ষা ও মহান পেশার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন-দিন বাড়ছে। রোগীর রোগ নিরাময়ে মেডিসিনে তাৎক্ষণিক সুফল পাওয়া না গেলেও ডাক্তার নার্সের সুন্দর ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল স্লোগান নয় বাস্তব সত্য। জীবনের পরিপূর্ণ আনন্দের জন্য শারীরীক ও মানসিকভাবে যারা সুস্থ তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখি মানুষ। তাই সুস্থতার জন্য চিকিৎসা আর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন নার্স। সাদা অ্যাপ্রোন আবৃত নার্সদের অবশ্যই সাদা মনের মানুষ হিসেবে আর্ত-মানবতার সেবায় এই মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।নার্সিং একটি পেশা নয় সেবামাত্র। নার্স মানে এক নিবেদিত প্রাণ। একটি সেবা দানকারী সত্ত্বা। একজন নার্স মানে একটি অন্ধকার ঘরে আলোর ঝিলিক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমাদের সরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, যারা করোনা সেবায় অবদান রেখেছেন তাদের সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা দেখেছি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এগিয়ে এসেছে। তারা কোনো গাফলতি করেননি। নিজেদের ঝুঁকি নিয়েই তারা কাজ করেছে। এজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তারা নিজের জীবন বাজি রেখে করোনায় আক্রান্তদের সেবা প্রদান করেছে। আমি মনে করি, যে আপনারা একটা বিরাট অবদান রেখে গেছেন।’আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে সকল নার্সদের কে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।




error: Content is protected !!