আসলাম পারভেজ,হাটহাজারীঃ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসূল (সা.) এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কুখ্যাত নাস্তিক আসাদ নূর আবারও জঘন্য কটূক্তি করেছে উল্লেখ করে অবিলম্বে তার গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, স্বঘোষিত নাস্তিক আসাদ নূর তার ভিডিওতে মহান আল্লাহর শানে চরম বেয়াদবি করে বলেছে- ‘আল্লাহ কিছু করতে পারে না এবং পবিত্র ধর্ম ইসলাম ধর্ম করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর’। দেড়শো কোটি মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর নাম বেয়াদবির সাথে উচ্চারণ করে এই কুলাঙ্গার তাঁকে ডাকাত ও ভণ্ড নবি বলার জঘন্য স্পর্ধা দেখিয়েছে৷ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পবিত্র হজ্জকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে সে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কুলাঙ্গার আসাদ নূর বার বার ইসলামধর্ম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য কটূক্তি ও কুৎসা রটিয়ে বাংলাদেশের সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। সে ইসলামী চেতনাবোধ ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জঘন্য বিষোদ্ঘার করে যাচ্ছে। সে ঘৃণার চর্চা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বাংলাদেশের শত্রুদের ক্রীড়নক হয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সামাজিক সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটূট রাখার স্বার্থে নাস্তিক আসাদ নূরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে ইন্ধন যোগাতে পর্দার আড়াল থেকে কারা কারা কলকাঠি নাড়ছে, সঠিক অনুসন্ধান করে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। যাতে আগামীতে এ ধরণের চক্রান্তে শামিল হওয়ার সুযোগ ও দু:সাহস কেউ দেখাতে না পারি।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কোন মুসলমান আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের শানে বেয়াদবি ও কটূক্তি করলে, সে আর মুসলিম হিসেবে গন্য হবে না। সে মুরতাদ হয়ে যায়। ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ধর্মদ্রোহীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কারণ, আল্লাহর যমীনে মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূল এবং তাঁর একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কেউ জঘন্য কটূক্তি করলে সে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে না।
হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, অতীতেও বহুবার এই স্বঘোষিত নাস্তিক মহান আল্লাহ ও প্রিয় রাসূল এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে জঘন্য কটূক্তি করেছে। উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার দাবির মুখে প্রশাসন তাকে গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। যার ফলে সে আবারো ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালানোর সুযোগ পেয়েছে।
হেফাজত মহাসচিব প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে আসাদ নূরকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামী চেতনাবোধকে নিয়ে কোনরূপ তামাশা ও ষড়যন্ত্র তৌহিদী জনতা কখনো মেনে নিবে না। অন্যথায় এই কুলাঙ্গারদের প্রতিহত করতে তৌহিদী জনতা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে।