ঈদ উপলক্ষে নীলফামারী তিস্তাপাড় যেন মিনি সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২০

এ জি মুন্না- নীলফামারীজেলা প্রতিনিধি: উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ডালিয়ায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ঈদ আনন্দে যেন সমুদ্র সৈকতে পরিণত হয়েছে। ব্যারেজ এলাকায় বিনোদন পিপাসুদের উপচেপড়া ভিড়।

এলাকাবাসী বলছেন এ ধরনের ভিড় চলবে আরও ৫ দিন।

তিস্তার বুকে দ্রুত বেগে এক পাশ থেকে আরেক পাশে ছুটে চলছে স্পিডবোট বা শ্যালোচালিত নৌকা। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন সবাই। ছোট-বড়, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে তিস্তা পাড়। মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস বা ইজিবাইক করে বিভিন্ন এলাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজে পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে।

তিস্তা ব্যারেজ জুড়ে বসেছে অস্থায়ী বাজার। নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি, খাবারের দোকান রয়েছে এখানে। এছাড়া নদীর বুকে ভাসমান বেশ কিছু পাল তোলা নৌকা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। ফুরফুরে বাতাস মনকে চাঙ্গা করে দিয়েছে। অনেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে বন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।

নীলফামারী , পঞ্চগড়, , লালমনিরহাট,ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষে ভরে গেছে তিস্তাপাড়। ঘুরতে আসারা বলছেন করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি থেকে আমরা হাপিয়ে গেছি। ঈদ আনন্দ উৎসবকে হাতছাড়া করিনি। তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ঘুরে নৌকায় চড়ে খুব মজা পাচ্ছি। বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ নৌকা ভ্রমণে আনন্দ করছি।

তিস্তার পাড়ে দাঁড়ালে বাতাসে ঢেউয়ের শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়। হিমালয় থেকে নেমে আসা এ নদীকে ঘিরে দুপাড়ের মানুষ গড়ে তুলেছে বসতি ও জীবিকা, নীলজল আর সবুজের রঙে প্রকৃতি এঁকেছে শ্যামল ছবি। ফিরে এসেছে জীববৈচিত্র্য। অগণিত গাছপালার শ্যামল ছায়া আর পাখির কলতানে মুখরিত এখন তিস্তা। জেলেরাও জাল ফেলে মাছ ধরছে। আকাশে উড়ছে পাখী। আর এই পাখীদের মতো ঈদ আনন্দে ভাসছে মানুষ।




error: Content is protected !!