উখিয়া ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা বিরুদ্ধে আনীত ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১ নং জালিয়া পালং ইউনিয়নের সচেতন মহল।
অদ্য ১৩ মে ২০২০ ইং তারিখে “বাংলাদেশ পেপার” নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “পুলিশ জনগণের বন্ধু কথাটি মিথ্যে প্রমানে ব্যস্ত আইসি সিদ্ধার্থ।” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি এলাকার সচেতন মহলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাই উক্ত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জালিয়া পালং ইউনিয়নের সচেতন মহল।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য
মুঠোফোনে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সিদ্ধার্থ সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ আইনের উর্ধ্বে নয়। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্যতা যাচায়ের জন্য আমার উর্ধ্বোতন কর্মকর্তা রয়েছে। তারাই অভিযোগ গুলো যাচাই করবে। আমার কারণে গোটা পুলিশ বাহিনী কলুষিত হউক তা আমি চাই না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য হলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। সমাজের একটি কুচক্রীমহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংবাদ দাতাকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য প্রদান করে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। আমি কারো প্রতিপক্ষ নয় আইনে চোখে সবাই সমান। একটি চক্রান্তকারী মহল বিশিষ্টজনকে ভুলবুঝিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
“ইয়াবা পাচারে সহযােগিতা, মানব পাচারকারীদের সাহায্য, ভূমি দখলে দিতে দখলবাজদের সাথে চুক্তি, ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি, বিচার প্রার্থীদের মারধরের মতাে নানা কথা।” তবে তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায় সিদ্ধার্ত সাহা ইনানী ফাড়িঁতে যোগদানের পর বিচারকার্যে দালালীর উৎকোচ শূন্যে পৌঁছেছে। ইয়াবা কারবারীদের ঘুম হারাম হয়েছে। মেরিন ড্রাইভে গণ ডাকাতি বন্ধ হয়েছে। হিচকে চোরের উপদ্রব কমেছে। মানব পাচারকারীকে আইনের আওতায় এনেছে। গত বছরের ১৫ নভেম্বর’১৯ এগার রোহিঙ্গাকে পাচারের সময় দালাল সহ আটক করে সুনাম কুড়িয়েছে। দলীয় পরিচয়ে বিচারকার্যে যোগসাজশ চিরতরে বন্ধ হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন জনপ্রতিনিধিরা। সমুদ্র কন্যা ইনানী বিচ সংলগ্ন কটেজগুলোর অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান যার বাস্তবরূপ তিনিই দেখিয়েছেন। বাড়ির মেঝ খুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দুঃসাহসীক কাজ তিনি করে দেখিয়েছেন। ইনানী বিচ সংলগ্ন বড় খালের ব্যবসায়ীরা বলেন, ইনানী ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যবদি এমন সাহসী অফিসার আমরা দেখিনি। সোনারপাড়া বাজার থেকে শামলাপুর পর্যন্ত নিরপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম পাঁচ তারকা মানের হোটেল সি-পালকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে রেখেছেন। তিনি ইনানী ফাঁড়িতে যোগদানের পর কোন পর্যটক ছিনতায়ের স্বীকার হয়নি। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কাজেই এলাকার সচেতন মহল প্রকাশিত ঐ সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।