উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনকে ঘিরে শরণখোলায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় নমিনেশন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু।

মোঃমাসুদ পারভেজ,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় নমিনেশন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকর্মী মনোনয়ন পেতে নানাভাবে প্রচারণায় ও দলীয় নমিনেশন পাওয়া জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রার্থিতা নিয়ে ছবিসহ নানা প্রচারণায় জমে উঠছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি পেতে লবিং গ্রুপিং শুরু করেছেন।তারা দলীয় নমিনেশনের জন্য ঢাকায় অবস্থানও করছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজির আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ তারিখ।২৬ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে।বৈধ প্রার্থীগণ ৩ অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।২০ অক্টোবর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকন মারা গেলে পদটি শূন্য হয়।২০১৯ সালে কোদালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ভুইয়া মারা গেলে পদটি শুন্য হয়।এছাড়াও একই দিনে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চার নং ওয়ার্ড সদস্য এবং রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শরনখোলা উপ-নির্বাচনে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত মরহুম কামাল উদ্দিন আকনের ছেলে মোঃ রায়হান উদ্দিন আকন(শান্ত)।দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শান্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের ভাতিজা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম নাসির উদ্দীন আকনের নাতি।
শরণখোলা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন।উদ্যমী এই জনপ্রতিনিধি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।তিনি শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ছিলেন।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা।মুক্তা শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর বাইরে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সমাজকল্যাণ পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ও সাবেক ডাকসুর সাবেক সদস্য মোঃ আব্দুল হক হায়দার।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খোকন।সাইফুল ইসলাম খোকনের পিতা মাস্টার মফিজুল হক শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।সাইফুল ইসলাম খোকন সাহেব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিআরডিবি‘র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম কালাম।
ধানসাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল আকন।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীনা আক্তার সাগর।
এদিকে উপ-নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রার্থী হিসেবে দলীয় নমিনেশন পাওয়ার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন ।
দলীয় মনোনয়ন পেতে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খান মতিয়ার রহমান।উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনে পঞ্চায়েত।উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা এসহাক আলী।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ।