এডভোকেট আবু জাহির এম,পি একদিনে সৃষ্টি হয় নাই? সুশান্ত দাশ গুপ্তই হলুদ সাংবাদিক
সম্পাদকীয়: সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা দেশের ও সমাজের অথিত বর্তমান ভবিষৎ ভাল মন্দ সবটাই কলম দিয়ে তুলে ধরেন সমাজের জ্ঞানী গুণিজনার মধ্যে, যার দরুণ সাংবাদিকরা তাদের কাছ থেকেই পেয়েছেন কৃতজ্ঞতা । প্রতিটা ক্ষেত্রেই ভাল মন্দের অবস্থান থাকে এটাই হয়েছে হবিগঞ্জের মানুষের কাছে। হবিগঞ্জে যতজন সাংবাদিক রয়েছেন কোন দিন স্বার্থের পেছনে দৌড়াননি নিজের জিবনটা অনেক কষ্টে চললেও সাংবাদিকতার ঐতিয্যকে জ্বলাঞ্জলী দেন নাই আমার দেখা ভাল মানুষ গুলা এখনো বেচে আছেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব কে সামনে রেখে। আজ পর্যন্ত কেউ “হলুদ সাংবাদিকতার” প্রশ্ন তুলতে পারে নাই। ইদানিং “আমার হবিগঞ্জ” নামে পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তর পত্রিকাতে সংবাদ গুলি নিয়ে হবিগঞ্জের জনপদে একটি কানাঘুষা শুরু হয়েছিল যে এটা কি পত্রিকা না মানহানী করার যন্ত্র। বিষয়টা পরিস্কার করেছেন সময়ের সাহসি সাংবাদিক হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান জাহির তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ থাকে কারাগারে পাটিয়েছে। এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব, হবিগঞ্জের সংবাদ পত্র ও সাংবাদিক কলংখ মুক্ত হয়েছে। আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তকে গ্রেফতার করে আইন, আমরা “দৈনিক অপরাধ” পরিবার তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ধন্যবাদ জানাই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক কে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবিগঞ্জে হলুদ সাংবাদিকতার অপপ্রয়াস এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে আপনারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
( নিম্নে পাঠকের মতামত)
মশিউর রহমান শামীম,
সাংঘঠনিক সম্পাদক
জেলা আওয়ামীলীগ,হবিগঞ্জ।
ইদানিং অত্যন্ত দুঃখের সহিত লক্ষ্য করছি যে, দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পএিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তের পক্ষে আওয়ামী লীগ নামদারী খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্নারা আকার, ইঙ্গিতে ও লোক চক্ষুর অন্তরালে সুশান্ত দাশ গুপ্তের পক্ষে দালালীতে ব্যস্ত হয়ে নেমেছে, তাদের প্রতি চ্যালেন্জ দিয়ে বলতে চাই সৎ সাহস থাকলে সামনে এসে এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এম,পি ‘র বিরোধিতা করুন। কাপুরুষের মত নয়। এডভোকেট আবু জাহির একদিনে সৃষ্টি হয় নাই ছাএ রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে গন রাজনীতিতে পদাপর্ণ করেছেন তিনি জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বার্তা সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে দলের স্বার্থে নিজেকে উজার করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জননেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। যারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হবিগন্জের রুপকার / গনমানুষের নেতাকে জনগণের নিকট ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় তাদেরকে দাত ভাঙা জবাব দিতে প্রত্যক মুজিব আদর্শের সৈনিকরা সজাগ ও প্রস্তুুত।
(প্রসঙ্গঃ সুশান্ত দাশ গুপ্ত)…….?
হবিগঞ্জের একজন নাগরিক হিসেবে লেখাটি লেখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করছি। এতদিন ধরে দেখে যাওয়া ঘটনাগুলো শুধু তুলে ধরলাম।
.
প্রথমেই বলে রাখি পৌর ছাত্রলীগ আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর আমাকে ও অন্য সহযোদ্ধাদের জড়িত করে মিথ্যা নিউজ করেছিল এই আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা। এই নিউজ যে ভুয়া তার প্রমান আমি ও আমার সহযোদ্ধারা ইতিপূর্বে দিয়েছে।
( facebook.com/Md.MusfiqurRahmanTuhin/posts/2538182159835935 )
(১)- পল্টি?
– ২০১৬-২০১৭ সালে “ধন্যবাদ এমপি আবু জাহির মহোদয়”,”নতুন হবিগঞ্জের স্বপ্ন দেখেন আবু জাহির এমপি”, “নেতা কর্মীদের পাশে দাড়ানোর জন্য এমপি আবু জাহির ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ”,”Salute My Mp” এরকম অসংখ্য পোস্ট তার ভেরিফাইড পেইজে দেখা যায়।
এমপি আবু জাহির মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ছবিও ফেইসবুকে দেখা যায়।(ছবি সংযুক্ত)
.
-১১/১১/২০১৮ সালে হবিগঞ্জ-৩ আসনে(এমপি আবু জাহিরের বর্তমান আসন) আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়নের জন্য আবেদন পত্র জমা দেন সুশান্ত দাশ গুপ্ত।
(facebook.com/Sushanta.D.Gupta/posts/1033050780199928)
ফলে এই নির্বাচনে এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন পরপর ৩ বারের এমপি আবু জাহির, আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম,সুশান্ত দাশ গুপ্ত প্রমূখ।
আমি যদি ভুল না জেনে থাকি তবে নির্বাচনের আগে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা এমপি আবু জাহিরের অন্য দুই প্রতিদ্বন্ধী সুশান্ত দাশ গুপ্ত ও আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম দুইজনে স্বাক্ষাত ও করেন । অবশেষে দলের হাইকমান্ড এমপি আবু জাহির মহোদয়কে মনোনয়ন দেন এবং তিনি বিপুল ভোটে প্রতিবারের মতো নির্বাচিত হন।
.
-১১/১২/২০১৯ তারিখে অনুষ্টিত হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সুশান্ত দাশ গুপ্ত সরাসরি এমপি আবু জাহিরের বিরোধীতা করেন এবং আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমকে সমর্থন জানান। আরেক সভাপতি পদ প্রত্যাশী মহিলার পক্ষেও অনেক পোস্ট দেন। মোটকথা আবু জাহির এমপি মহোদয়ের পুরো বিরোধীতা করেন।
আবারও দলের হাইকমান্ড এমপি আবু জাহির মহোদয়কে সভাপতি নির্বাচিত করেন।
.
-বারবার ব্যর্থ হয়ে সুশান্ত দাশ গুপ্ত নিজের স্বার্থ হাসিল করতে (এমপি হওয়ার স্বপ্ন) খুলে বসেন “আমার হবিগঞ্জ” নামের পত্রিকা। ‘আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকার বেশিরভাগ নিউজ উদ্দেশ্যমূলক আর সম্পাদকের নিজ স্বার্থের জন্যই আর এটা স্পষ্ট।
.
-অতঃপর আইসিটি মামলা এবং গ্রেফতার। প্রশ্ন হল মামলার বাদী কে? উনি কি রাজনৈতিক নেতা? মামলার বাদী একজন বিচক্ষণ ও সুনামধন্য সাংবাদিক নেতা।
.
যারা বারবার সুশান্ত দাশ গুপ্তকে নিরপেক্ষ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করছেন তাদের জন্যই এতগুলো কাহিনি বর্ণনা করা। যে পত্রিকার সম্পাদকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত একজন এমপি ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে নিউজ করে যাচ্ছে সেই পত্রিকাকে আর যাই বলি নিরপেক্ষ বলা যায় না।
(২),,,??
বিভিন্ন সরকার বিরোধী ফেইসবুক গ্রুপ ও অনেক সুশীলদের আইডিতে দেখলাম বলা হচ্ছে যে সুশান্ত দাশ গুপ্তের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।
যে আসামী এসপি অফিসে বসে ফেইসবুকে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান এমপিকে নিয়ে পোস্ট দেয় , তার বাক স্বাধীনতা নেই এইটা হাস্যকর।
(৩),,,,??
-ফেসবুকে অনেক পোস্ট দেখলাম সুশান্ত দাশ গুপ্ত নাকি অনেক আগেই এই আইসিটি মামলায়ই (৫৭ ধারায়) অরুপ রতন নামক একজনকে জেল খাটিয়েছিলেন। আজ তিনি নিজেই ৫৭ ধারায় গ্রেফতার!
(৪),,??
সুশান্ত দাশ গুপ্তের মদ খেয়ে মাতলামী করার একটি ভিডিও দেখলাম ফেইসবুকে।
(faceboook.com/100011052691304/videos/1132526860459060 )
(৫)পল্টি!??
-২৭/১২/২০১৫ তারিখে সুশান্ত দাস গুপ্তের পোস্ট-
হবিগঞ্জ পৌরসভার একজন ভোটার আমি। দেশে থাকলে সেলিম ভাইকে ভোট দিতাম। আপনিও সেলিম ভাইকে ভোট দিন নৌকা মার্কায়।
(facebook.com/Sushanta.D.Gupta/photos/a.157158027789212/496612660510412/)
-৩০/০৬/২০১৮ তারিখে হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকার নিউজ হেডলাইনঃআতাউর রহমান সেলিমের উপর হামলার ঘটনায় সুশান্ত দাস গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা।(ছবি সংযুক্ত)
(৬),,,??
২/৮/২০১৭ তারিখে সুশান্ত দাশ গুপ্তকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার। ( ছবি সংযুক্ত)
.
(৭),,,,??
কয়েকবছর আগে হবিগঞ্জ শহরের দেয়ালে অনেক পোস্টার দেখেছিলাম, যাতে লিখা ছিল “সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সুখিয়া রবি দাশের টাকা আত্মসাতকারী সুশান্ত দাস গুপ্তের শাস্তি চাই”। (ছবি সংযুক্ত)
ঐই সময় সুশান্ত দাশ গুপ্তের শহরে ঘটানো বিভিন্ন ঘটনায় (সুখিয়া রবি দাস কাহিনি,জেলা যুবলীগের নেতা আতাউর রহমান সেলিমের উপর হামলা সহ বিভিন্ন ঘটনা) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীর্ষ্টান ঐক্য পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা কমিটি নিন্দা জানিয়েছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ , মানববন্ধন করেছে । শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা স্বারক্ষলিপি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবর। (ছবি সংযুক্ত)
সুশান্ত দাস গুপ্তের একসময়ের অতি ঘনিষ্ট লোক শ্যামল বনিক ১৯/০৩/২০১৮ তারিখে “সুশান্ত দাস যে কোন সময় নিজে অথবা তার ভাড়াটে লোক দিয়ে আমাকে হত্যা করতে পারে“ এই মর্মে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন। (ছবি সংযুক্ত)
(facebook.com/story.php?story_fbid=195881397681348&id=100017784664113 )
বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ হবিগঞ্জ পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক Koushik Acharjee Payal সহ শহরের অনেকেই মনে করেন “ অসাম্প্রদায়িক হবিগঞ্জকে সাম্প্রদায়িক গড়ে তুলে দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টাকারী করেছিলেন সুশান্ত দাশগুপ্ত”
.
(৮),,,,??
সুশান্ত দাশ গুপ্ত হবিগঞ্জ ২ আসনের বাসিন্দা হয়েও শুধুমাত্র আলোচনায় আসার জন্য হবিগঞ্জ ৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান। যে এলাকায় যার নেই বিন্দুমাত্র তৃণমূল কর্মী সম্পৃক্ততা, নেই রাজনৈতিক অতীত ব্যাকগ্রাউন্ড, নেই জনপ্রিয়তা । বানিয়াচং উপজেলার, ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের সুনারু গ্রামে তার বাড়ি। রাজনীতি যদি জনগনের কল্যানের জন্য হয়ে থাকে তবে তিনি নিজের এলাকার মানুষের কল্যানের চিন্তা বাদ দিয়ে হবিগঞ্জ ৩ আসনের মনোনয়ন কেন চান? কেন এমপি আবু জাহিরের পিছনে এইভাবে লেগে আছেন? কেনই বা বার বার বিভিন্ন কর্মকান্ড ঘটিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি? তার লক্ষ্য,উদ্দেশ্য কি?
.
অবশ্যই যাচাই-বাচাই করে বিশ্বাস করে নিবেন। প্রয়োজনে বিশ্বাস করার দরকার নাই। অবিশ্বাস করতে থাকেন।
শুধু তার এবং তাকে নিয়ে ঘটে যাওয়া শহরের অতীত কর্মকান্ডের তালিকা দিলাম। অজানা হয়তো আরো অনেক ঘটনা আছে, আমার অজানা। ভালো-মন্দের বিচার বিশ্লেষন আপনার বিবেক করবে।
(সমাপ্ত)