মো.আরিফুল ইসলাম,দেবিদ্বার,কুমিল্লা।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে কুমিল্লা দেবিদ্বারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই আমাদের একটি টার্গেট থাকে। রমজানে ব্যবসা করে সারা বছর কর্মচারীদের নিয়ে ভালোভাবে যাতে দিন কাটাতে পারি। সেরকম একটি লক্ষ্য থাকে আমাদের। কিন্তু এবছর করোনার কারনে সব বেস্তে গেছে। বউ বাচ্চা নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সকালে এভাবেই নিজের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন দেবিদ্বার কালাচাঁন মার্কেটের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া. তিনি বলেন ছোট এই দোকানের আয় থেকেই চলে আমার সংসার খরচ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুদ পরিস্তিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছি। এমন যদি আরও অনেক দিন থাকে তাহলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। আর যদি এই অবস্থা আরো বাড়ে তাহলে প্রচন্ড বিপদে পড়তে হবে আমাকে। কিভাবে সংসার চলছে বা চলবে তা কেউ বুঝবে না। দোকান একমাস ধরে বন্ধ তাই দেখতে আসছি সব ঠিক আছে কি না। ক্ষুদ্র এই ব্যবসায়ীর কথাতেই বুঝা যায় করোনার এই অবস্থায় কেমন আছে ব্যবসায়ীরা। এমন এই আবস্থা শুধু এই দোকানদারদের নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী সকলেরই। দোকান বা ব্যবসা বন্ধ থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকে। এদিকে তারা প্রত্যেক মাসে দোকান মালিক কে ভাড়া দিতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু দোকান মালিক ভাড়ার জন্য চাপও দিচ্ছেন। এভাবে দুই চার দিন সামলাতে পারলেও বেশি সময় ধরে চললে কি হবে তা তারা জানেনা।
একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রেখে কেমন আছে এটা বাহির থেকে কেউ বুঝবে না। অনেক ব্যবসায়ী আছে যাদের ঘরে খানা নেই। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরাই বিভিন্ন ব্যাংক বা এনজিও থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে। নিন্ম বিত্ত মানুষজন বিভিন্নজনের কাছে সহযোগিতা পায় কিন্তু আমাদের মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাযীরা কারো কাছে চাইতেও পারে না। আবার কেউ সাহায্য নিয়ে এগিযে আসে না। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন তারা। সরকার যদি কোন সহযোগিতা না করে তাহলে তাদের বড় ধরনের বিপদের সম্মখীন হতে হবে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দোকানপাট বন্ধ থাকলে ভাড়া দিতেহিমশিম খেতে হবে। এক দিকে সংসার খরচ অন্যদিকে দোকান ভাড়া। সরকারের উচিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান ভাড়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া।