কলাপাড়ায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো ॥

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  অধিবাসের মধ্য দিয়ে কলাপাড়ায় শত বছরের
ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে । এরই
মধ্যে শ্রী শ্রী কৃষ্ণনের উৎসককে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমুদ্র
সৈকত কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে দেশী-বিদেশী পুন্যার্থী, সাধূ-সন্ন্যাসীসহ
ভক্ত-দর্শনার্থীর। ঐতিহ্যবাহী রাস মেলাকে ঘিরে উৎসবের রংয়ে সেজেছে
কুয়কাটা রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম ও কলাপাড়া মোদনমোহন সেবাশ্রম এলাকা। রবিবার
রাত দশটায় কুয়াকাটা রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রমে
সনাতন ধর্মালম্বীরা অধিবাসের মধ্য দিয়ে সতের জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শনের
মাধ্যমে এ রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এসময় শাক, উলুধ্বনি এবং নাম
কৃর্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গন। পঞ্জিকা মতে আজ বিকাল ৪ টা
২৩ মিনিটে শুরু হবে পূর্নিমা। থাকবে পরদিন মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা ১৯ মিনিট
পর্যন্ত। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পূর্নিমার এ তিথিতে আগামীকাল
কাকডাকা ভোরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গঙ্গা¯œান করবে সনাতনীরা।

কুয়াকাটা রাস পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন বলেন,
গঙ্গাস্নান ও রাসমেলাকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুুতি। শ্রী
শ্রী রাধাকৃঞ্চ মন্দিরের সামনে প্যান্ডেল, গেট ও আলোকসজ্জার কাজ সম্পন্ন
করা হয়েছে। মন্দিরে রাধা কৃঞ্চের ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে।
আগত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সম্পন্ন করা হয়েছে।

কলাপাড়া মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির আহবায়ক এ্যাড. নাথুরাম
ভৌমিক পূন্যস্নান কুয়কাটায় হলেও মুল ধার্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হয় কলাপাড়ায়।
এখানে মেলা চলবে পাঁচ দিন।

কলাপাড়া রাস পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র
বলেন, আজ অধিবাসের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটা রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও কলাপাড়ার
মদনমোহন সেবাশ্রমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সনাতন ধর্মালম্বীরা রাসের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই রাস মেলা
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ
মহিবুর রহমান মহিব।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান,
পুণ্যার্থীদের সুপেয় পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুণ্যস্নান শেষে
কাপড় পাল্টানোর জন্য অস্থায়ী গোসল খানা, নলকুপ বসানোসহ তিনদিন ব্যাপী
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। আগত পুণ্যার্থী ও
দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল ক্যাম্পসহ থাকছে তথ্য
সেবা কেন্দ্র। আগত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য
গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।




error: Content is protected !!