কলাপাড়ায় এবার ফরিদা হক মেমোরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালের করোনা রিপোর্ট নিয়ে তুলকালাম॥
রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কুয়াকাটার ১৪টি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩১৫ শ্রমিকের মধ্যে ১৭ জনের করোনা পজেটিভ বেসরকারি হাসপাতালের এমন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রোববার আবার এদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া ১৭ শ্রমিক অবস্থান করা আট আবাসিক হোটেল লকডাউন করে দিয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজে যোগদানের জন্য এই শ্রমিকদের কুয়াকাটার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ
এসব জানালেও উপজেলা স্বাস্থ্য বা উপজেলা প্রশাসন এসব বিষয়ে কিছুই জানত না বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় আটটি হোটেলে অবস্থান করা ১৭ শ্রমিক করোনা পজিটিভ। তাঁদের সকলের নাম,হোটেলের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। পটুয়াখালী জেলা সিভিলসার্জনের মেইলেও এটি দেয়া হয়। এখবরটি গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। করোনার কারনে তিন মাসেরও বেশি সময়
পরে ০১ জুলাই থেকে কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল খোলার পরে এ খবরে সর্বত্র করোনা শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রাইভেট হাসপাতালের ওই মেইল
প্রত্যাখ্যান করে বলা হয় ওই হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন রয়েছে কি না তা জানতে হবে। এরপর কলাপাড়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা: চিন্ময় হাওলাদার কুয়াকাটায় গিয়ে ওই ৮টি হোটেল লকডাউন করে দেয় এবং রবিবার ফের স্বাস্থ্য বিভাগ ওই ১৭ শ্রমিকের মধ্য থেকে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। বাকি একজনের নমুনা নেয়া হবে বলে জানান।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, বেসরকারি ওই হাসপাতালের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান হলে ৩১৫ জনের মধ্যে বাকি ২৯৮ জন যারা রয়েছে তারা নেগেটিভ কি
না তা কীভাবে নিশ্চিত হলো স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই শ্রমিকদের নমুনা কেন সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হলো না। কালিয়াকৈর গাজীপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
আরেক রিজেন্ট হাসপাতাল কি না তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এখন কলাপাড়ার টক অব দ্যা টাউন হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, ১০০ দিন বন্ধ থাকার পরে যেখানে ০১ জুলাই হোটেল-মোটেল করোনা
স্বাস্থ্য বিধি মতে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে হোটেলে বহিরাগত শ্রমিক করেনাকালে প্রবেশ করানো ঠিক হয়নি। একাধিক হোটেল মালিক জানিয়েছেন,
জনৈক মামুন এবং আরিফ নামে দুই ব্যক্তি শ্রমিকদের হোটেলে রাখার কাজ সম্পন্ন করেছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৩১৫ জন শ্রমিক কুয়াকাটার ১৪টি হোটেলে রাখা হয়েছে। শনিবার কলাপাড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসিয়াল মেইলে ডা: ফরিদা হক মেমোরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল,কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক ল্যাব চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর (ঢ়ৎড়লবপঃপড়ারফ১৯ষধন@ফধন-নফ.ড়ৎম) থেকে একটি মেইল পায়। যেখানে লেখা রয়েছে মিস স্মিতা হিলটন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এন্ড ল্যাব ইনচার্জ। আটটি হোটেলের সকলকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান,এবিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু যথাযথভাবে অবগত করানো হচ্ছে।