কলাপাড়ায় কাঁচা মরিচের ফলন বাম্পার হলেও বাজারে সেরকম দাম পাচ্ছেনা কৃষক ॥
রাসেল কবির মুরাদ ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় এবার
কাঁচা মরিচের ফলন হয়েছে বাম্পার। এলাকার বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মারিচ
তোলার ধুম পড়ে গেছে। কেউ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলছে। কেউবা আবার তুলে মরিচ
বাড়ির উঠানে নিয়ে রাখছেন। এছাড়া অনেক কৃষক তাদের ক্ষেত থেকেই পাইকারদে
কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আর ট্রাক ভরে কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ চলে
যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে মিলছেনা আশানুরূপ দাম এমন দাবি
কৃষকদের।
স্থানীয় ও কৃষকদের সূত্রে জানান গেছে, গত কয়েক বছর ধরে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ,
মহিপুর, আলীপুর, লতাচাপলীসহ বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন
হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা দামও পেয়েছে ভাল। তাই লাভের আশায় কৃষকরা মরিচ চাষে
ঝুঁকে পড়ছেন। ভাগ্য ফেরানোর যুদ্ধে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন এখানকার
কৃষকরা। খালগুলো মরে যাওয়া ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষেতে ঠিকমত
পানি দিতে পারেননি এমন কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।
স্থানীয় আড়তদার মালিকরা জানান, প্রচুর পরিমানে মরিচ উৎপাদন হওয়ায় এখানকার
কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। এছাড়া
হাটে স্থানীয় কৃষক ছাড়াও পার্শবর্তী ইউনিয়নের লোকজন কাঁচা মরিচ নিয়ে আসে।
এদিকে কৃষকদের পাশাপাশী নারি শ্রমিকসহ নানা মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি
হয়েছে। একজন নারী শ্রমিক ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ ভেঙ্গে দিলে ১ মনে
১০০টাকা আয় হয়।
থঞ্জুপাড়া গ্রামের কৃষক সাদেক মুন্সী জানান, এ এলাকার জমিগুলো হল বেলে
মাটি। যার কারনে বিন্দু মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখানকার কৃষকরা জিরা,
বাঁশগাড়াসহ নানা জাতের মরিচের আবাদ করছেন। এবারে তিনিও ২ একর জমিতে
মরিচের চাষ করেছেন। আরেক কৃষক দবির খান জানান, এবারে তিনি প্রায় ৪ একর
জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সার, ঔষধ ও পানিসেচ বাবদ এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ টাকাট
খরচ করেছেন। আরেকজন কৃষক মৃনাল হাওলাদার বলেন, নিয়মিত সার দেয়া, নিড়ানী
দিয়ে ক্ষেত পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত
যোগাযোগ রাখছি। এখন পুরো ক্ষেতের মরিচ সঠিক দামে বিক্রি করতে পারলে ৪
লক্ষ টাকার মত বিক্রি করতে পারবো বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি-কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, কলাপাড়ায় এবার ৫০০
হেক্টরেরও বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ টন উৎপাদন
হয়েছে। তাবে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাল খনন শুরু
হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।