কলাপাড়ায় কীটনাশক প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, ৫লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি ॥

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১

রাসেল কব্রি মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় কীটনাশক
প্রয়োগ করে এক কৃষকের পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার
দুপুরের দিকে ধানখালী ইউপি’র পাঁচজুনিয়া (বাড়ৈর কোলা) গ্রামে এ ঘটনা
ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচজুনিয়ার মো: মন্নান মৃধার দুই পুত্র আল
মামুন মৃধা(৩৬) এবং জাফর মৃধা(৩৮) বাড়ির পুকুরে সমন্বিত মৎস চাষ করে
সফলতা পেয়েছিলেন। শনিবার দুপুরের দিকে তার মা পুকুর পাড়ে গেলে দেখতে পান
পুকুরের পানি ঘোলাটে হয়ে গেছে। কাছে গিয়ে দেখেন কীটনাশকের বোতল পানিতে
ভাসছে এবং পানির রঙ অনেকটা জায়গা জুড়ে ঘোলাটে হয়ে গেছে। তিনি বাড়ির
অন্যান্য সদস্যদের ডাকলে তারা এসে দেখেন চিংড়ি মাছ ছুটাছুটি করছে। পরে
তারা সেই ঘোলা পানি উঠাতে থাকেন এবং পুকুরে কলাগাছ কেঁটে ফেলন। সেইসাথে
পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আনার জন্য এম,ও,পি (মিউরেট অব পটাশ) প্রয়োগ করেন।
কিন্তু কিছুতেই রক্ষা করতে পারেননি পুকুরের মাছগুলো।

পুকুরের মালিক আল মামুন মৃধা এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেক কষ্ট করে বাংক
থেকে ঋন নিয়ে ভাইয়ের সাথে যৌথ সমন্বিত মৎস্য প্রকল্প শুরু করি। পরিশ্রম
করে সফলতাও পেয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের পুকুরে গলদা চিংড়ির সাথে রুই,
কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, গ্রাস কার্প, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া
এবং চাইনিজ পুঁটি চাষ করেছি। তিনি আরও জানান, দুপুরের দিকে আমাকে ফোন
করলে এসে দেখি মাছগুলো ছুটাছুটি করছে। তখন এলাকার লোকজন এসে মাছগুলো উপরে
উঠিয়েছেন। তার ভাষ্য মতে এলাকায় তাদের সাথে শত্রুতাবশত: কেউ এ কাজ করে
থাকতে পারেন। এতে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এই দুস্কৃতিকারীদের
চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পুকুরের
আরেক মালিক মো: জাফর মৃধা জানান, বিকথ্রিন ৫০০ মিলি. নামক বিষ প্রয়োগ করে
পুকুরের সমস্ত মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বেশি
ক্ষতি হয়েছে গলদা চিংড়ির। আর কিছুদিন পার হলেই বিক্রি করার উপযোগী হতো।

ধানখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাকির হোসেন মৃধা গনমাধ্যমকে বলেন, মাছ
মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কারা করেছে নিশ্চিত না হয়ে কিছুই বলা
যাচ্ছেনা।

কলাপাড়া থানার কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান জানান, স্থানীয়
চৌকিদারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ
করলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।




error: Content is protected !!