নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় গভীর রাতে পাঁচ জায়গায় দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় চোরচক্র। রবিবার গভীর রাতে  পৌরশহরের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটেছে। এর মাসখানেক আগেও পৌর শহরের একদম প্রান কেন্দ্রে একরাতে অভিজাত নয়টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। জনবহুল এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী।

সোমবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, চুরি হওয়া ৫টি বসতঘরের ৪টিতে কয়েকদিন যাবৎ অনুপস্থিত ছিলো পরিবারের সকল সদস্য। প্রতিটি ঘরের দরজাসহ ভিতর পর্যন্ত ছিলো তালাবদ্ধ। বাসাগুলোতে দীর্ঘদিন একেবারে লোকশূন্য থাকায় সব সময়েই সুনসান নীরবতা ছিলো। বিষয়টি সম্ভবত বহুদিন নজরে রেখেছে চোরচক্র। রবিবার গভীর রাতে এ সকল বাসায় হানা দেয় তারা।  প্রতিটি বাসার সদর দরজার তালাভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে চোরচক্রের সদস্যরা। এরপর ঘরে থাকা আলমারি, ওয়্যারর্ডব এবং বিছানা ওলটপালট করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে তারা। এই ৫টি বাসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ইতালি প্রবাসী মেহেদী আজাদ বাবু।

ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী জানান, ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা এবং দশ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় চোরের দল। পার্শ্ববর্তী আনিচমোল্লার স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, তাদের ঘর থেকে নগদ এগারো হাজার টাকা ও ৬ভরি স্বর্ণালংকার, আলিম সিনেমাহল সংলগ্ন ঠিকাদার মাসুদ রানার ভাড়া বাসা থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১ভড়ি স্বর্ণ এবং একই বিল্ডিংয়ের তাদের রুম সংলগ্ন ওই বাড়ির মালিক ব্যাবসায়ী সোহরাব হোসেনের কক্ষ থেকেও স্বর্ণালংকার, এছাড়াও ৯নং ওয়ার্ডের নেছারিয়া সড়কের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড, সাবেক বিডিআর সদস্য মো, আক্তার হোসেনের বাসা থেকে দুইটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় সংঘবদ্ধ চোরচক্র।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সকল বাসার তথ্য এবং পার্শবর্তী সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্র সনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি, পেলে প্রয়োজনীয় ও আইনানুগ  ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।