কলাপাড়ায় জুম মিটিঙে শিক্ষকদের জানালেন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক উপবৃত্তিতে থাকবেনা নির্দিষ্ট কোন ব্যাংক ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
গ্রেড-১ কর্মকর্তা আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম নতুন প্লাটফরর্মে প্রাথমিক
শিক্ষার উপবৃত্তি ওয়েবসাইটের উদ্বোধনে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের শিওরক্যাশ বা নগদের মতো আর কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক থাকবে না
উপবৃত্তির টাকা প্রদানের জন্য। শিশুর মা-বাবার পছন্দের অনলাইন ব্যাংকে
যাবে উপবৃত্তির টাকা। শুক্রবার ১৩ মে বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপবৃত্তি
ওয়েবসাইটের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। জুম মিটিঙের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধিদপ্তরের আইএমডি ডিভিশনের পরিচালক
যুগ্ম সচিব মো: বদিয়ার রহমান। এসময় বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার সকল
স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত
সকল শিশুর ২০২১-২০২২ অর্থবছরের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য আর নির্দিষ্ট কোন
ব্যাংক থাকবেনা। এখন থেকে অভিভাবকের ইচ্ছা অনুসারে অনলাইন ব্যাংক
নির্বাচন করতে পারবে। আগামী ১৬ মে থেকে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, বরিশাল ও
ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ডাটা এন্ট্রি শুরু হবে। সারা দেশকে তিনটি
পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে যাতে একত্রে কাজের চাপ না পরে। এবারের ওয়েবসাইটির
টেকনিক্যাল সহায়তা দিচ্ছেন সরকারের অর্থ বিভাগ এবং উপবৃত্তির পুরো অর্থই
রাজস্ব খাতের। এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধীকার প্রকল্প এবং
এটি একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অংশ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি, অধিদপ্তরের
পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রধান
শিক্ষকগণ এবং সকল বিভাগের উপপরিচালক, সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা
কর্মকর্তা, সকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, নির্বাচিত সহকারী উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকগণসহ প্রায় নয়শত কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ এসময়
সংযুক্ত ছিলেন।
এসময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরণ জানান, এবছরে ৬৫
হাজার ৫শত ৬৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই উপবৃত্তি
পাবেন। উপবৃত্তি পেতে হলে অবশ্যই মায়ের অথবা বাবার অথবা অভিভাবকের বৈধ
এনএইডি এবং শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই থাকতে হবে। এবিষয়ে জেলা
প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারগণের সহায়তা কামনা করা হয়। এরপরেও যাদের
ভ্যালিড এনআইডি থাকবে না তাদের জন্য অন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হবে। নতুন
এই অনলাইন প্ল্যাটফরমে পূর্বের ওয়েবসাইটের সমস্যাগুলো কমিয়ে আনা হয়েছে।
এই কাজটিকে সফল করতে মহাপরিচালক সকলের বিশেষ করে অভিভাবক, শিক্ষক ও
কর্মকর্তাগণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।