কলাপাড়ায় ড্রাগন চাষে ব্যাপক সফল মোস্তফা জামান ॥

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
Exif_JPEG_420

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় চাষ হচ্ছে
প্রচুর ড্রাগন ফল। পুষ্টিকর ও গুনগতমান ভাল হওয়ায় ড্রাগন ফল দিনে দিনে এ
অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এ ফল বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে।
বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে মো: মোস্তফা জামান ২০১২ সালে শখের
বসে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। কোনো প্রকার রাসায়নিক ঔষুধ ছাড়াই মাত্র কয়েক
মাসের মাথায় গাছ থেকে বেড়িয়ে আসে একের পর এক ফল। এরপর ক্রমশই তার বাগান
বৃদ্ধি হয়। ২০১৮ সালে তিনি চার একর জমিতে বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সফল
হয়। তারই অনুপ্রেরণায় কলাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক কৃষি খামার করেছে
অনেক বেকার যুবক।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ড্রাগন ফল ভিটামিন সির দারুন উৎস। এতে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে এবং ত্বক
সতেজ রাখে। এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া
অ্যাজমা-ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর
রাখতে সাহায্য করে।

ড্রাগন চাষী মো: মোস্তফা জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন, শখের বসে তিনি ড্রাগন
চাষ শুরু করেন। প্রথমে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি
প্রজাতি ড্রাগনের চাষ করে। বর্তমানে তার বাগানে লাল, সাদা, হলুদ এবং
গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন রয়েছে। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা
সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বাগানে ছয় শতাধিক গাছ রয়েছে। এ গাছ থেকে একটানা সাত
মাস ড্রাগন ফল পাওয়া যাবে এবং এ বাগান থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন
তিনি।

সমাজ সেবিকা সালমা কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, এটি ভিনদেশি ফল হলেও এখন
আমাদের দেশেও মিলছে এবং চাষও হচ্ছে প্রচুর। এ ফলের স্বাদ ও পুষ্টিগুণও
রয়েছে ব্যাপক। এ ফল এখন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ গনমাধ্যমকে
বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। কলাপাড়ায় এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি
ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোস্তফা জামানের বাগানটি উল্লেখযোগ্য।
ড্রাগন বাগান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।




error: Content is protected !!