কলাপাড়ায় তৃনমূল চাষাবাদে ব্যবহহৃত হচ্ছে নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি, চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি ॥

প্রকাশিত: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় তৃনমূল
চাষাবাদে ব্যবহহৃত হচ্ছে নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি, চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি
॥ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জনে মহামারি করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের
মধ্যেও সচল রয়েছে কৃষিকাজ। কৃষাণ-কৃষাণীদের ঘামঝড়ানো পরিশ্রম ও
প্রযুক্তিগত ব্যবহারে চাষাবাদ এবং মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ প্রদানের
মাধ্যমে স্থানীয় কৃষিতে অভাবনীয় সফলতা এনেছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া কৃষককে
কৃষি কাজে আগ্রহী করে তুলতে সরকারী প্রনোদনা, বিনামূল্যে সার ও বীজ
প্রদান, কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ, উঠান বৈঠকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও
দিক নির্দেশনা, ক্ষতিকর পোকা নিধনে কীট নাশকের ব্যবহার, মিষ্টি পানি
সংরক্ষনে স্লুইজ গেট নিয়ন্ত্রন ও পুকুর খনন, উৎপাদিত কৃষি পন্য সংরক্ষন,
বাজারজাত করন এবং রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারী ব্যাংক থেকে কৃষি ঋন বিতরনে
প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে কৃষিতে সফলতা পেয়েছে কৃষক।

দুর্যোগ প্রবন সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলীয় কলাপাড়ায় সম্প্রতি ঘূর্নিঝড়
’ইয়াস’ সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি অরক্ষিত বেড়িবাঁধের ভেতর প্রবেশ
করে সামান্য ক্ষতি করলেও তেমন প্রভাব পড়েনি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে রোদে
পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা কৃষি পেশায় নিয়োজিত সেই মানুষ গুলোর নিরলস পরিশ্রম।
জানা যায়, গত ক’বছরে ধান, গম, আখ, আলু, মিষ্টি আলু, ডাল জাতীয় ফসল মুগ,
মসুর, খেসারী, ফেলন, সরিষা, চিনা বাদাম, মসলা জাতীয় ফসল মরিচ, পিয়াজ,
রসুন, হলুদ, ধনিয়া এবং তরমুজ, বাংগি, খিরাই, শসা, পেঁপে ও শীতকালীন
শাক-সবজি ও অন্যান্য ফল-ফুল চাষে কৃষকের সফলতা ও স্ববলম্বী হওয়ার গল্প
প্রভাব ফেলেছে স্থানীয় বেকার যুবদের মাঝে। মান্ধাতার আমলের গরু মহিষের
হাল চাষ হ্রাস পেয়ে চাষাবাদে যুক্ত হয়েছে ট্রাক্টর, হারভেষ্টর সহ নানাবিধ
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠছে কৃষি ফার্ম। ফলে বেকারত্ব
হ্রাস পেয়ে বাড়ছে কৃষি উৎপাদন এবং সচল হচ্ছে অর্থনীতির চাকা।

কলাপাড়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বোরো হাইব্রীড
জাতের ধান, উফশী জাতের, উফশী জাতের আউশ ধান, স্থানীয় জাতের ধান, উফশী
জাতের আমন, স্থানীয় জাতের আমন ধান, গম, ভুট্রা, আখ, আলু, মিষ্টি, আল, ডাল
জাতীয় ফসল মুগ, মসুর, খেসারী, ফেলনসহ বিভিন্ন ফসল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে
বেশি আবাদ হয়েছে।

টিয়াখালী ইউনিয়নের কৃষক হানিফ মুন্সী এ প্রতিবেদককে বলেন, গরু-মহিষের হাল
চাষ’র বদলে কৃষিকাজে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টর, রাইস ট্রান্স
প্লান্টার, কম্বাইন হার ভেষ্টার এবং রাইস এন্ড হুইট রিপার। চম্পাপুর
গ্রামের কৃষক বিজয় সরকার (৪৫) বলেন, কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষন, উঠান বৈঠক ও
মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেয়ে এখন সবাই বেকার না থেকে চাষাবাদের
দিকে ঝুঁকছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ: মন্নান গনমাধ্যমকে বলেন, কৃষিতে সাফল্য
অর্জনে কৃষি বিভাগ সর্বদা মাঠ পযার্য়ে কৃষকের পাশে থেকে সঠিক পরামর্শ
প্রদান করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সুয়োগ সুবিধার কারনে এলাকায় কৃষি ফলন
বৃদ্ধি পেয়েছে।




error: Content is protected !!