কলাপাড়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ভাঙন, আতংকে এলাকাবাসী ॥

প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২২

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  ঃ   কলাপাড়ায় পূর্ণিমার জোয়ারে নদীতে পানি
বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সাগর
মোহনার রাবনাবাদ নদীর উত্তাল ঢেউ একের পর এক আছড়ে পড়ছে বাঁধের উপর।
বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরবালিয়াতলী গ্রামের ৪৭/৪ নং পোল্ডারের প্রায় ১
কিলোমিটার বেরিবাঁধ ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে। দফায় দফায় জোয়ারের ঢেউয়ের তান্ডবে
বাধঁটি চারটি পয়েন্টে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর ফলে ওই ইউনিয়নের
পাঁচ গ্রামে মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন
প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের সময়
ঢেউয়ে বাঁধটি এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বার্তমানে নদীর খর¯্রােত উত্তাল
ঢেউ বাঁধের উপর আছড়ে পড়ছে। ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট।
সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বটগাছ সংলগ্ন এলাকায়। এ বাঁধটি ছুটে গেলে
চরবালিয়াতালী, লেমুপাড়া, বড় বালিয়াতলী, দীঘর বালিয়াতলী ও আমতলীপাড়া গ্রাম
প্লাবিত হবে। এরফলে এসব গ্রামের কৃষকরা পানিবন্দিসহ আর্থিক ক্ষতিতে পড়বে।
পূর্ণিমার জোয়ায়ে ওই চারটি স্থান পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার শংঙ্কায় রয়েছে
এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মহসিন হাওলাদার বলেন, বাঁধটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির
মধ্যে রয়েছে, গ্রামবাসী ভয়ংকর বিপদেও মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে
সুনির্দ্দিষ্ট কতৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

ঔ বাঁধ সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন, প্রচন্ড
ঢেউয়ের তান্ডবে মুর্হুমুহু ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধটি। ভাঙ্গা পয়েন্টগুলোতে
গাছ কেটে ফালানো হয়েছে। যাতে ঢেউ বাঁধগ্রস্থ হয়। আরেক বাসিন্দা জালাল
আহমেদ বলেন, বঙ্গোবসাগরের মুখশায় রামনাবাদদ নদী, এর পাড়েই চর বালিয়াতলী
বেরিবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় আমরা বসবাস করি। পূর্ণিমার জোয়ারে ও রামনাবাদ
নদীর ঢেউয়ের তান্ডবের কারনে বাঁধ যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে। তখন
পানিতে ভাসতে হবে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কতৃপক্ষের কাছে
দাবি জানান তারা।

বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির বলেন, পানি উন্নয়ন
বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে এবিষয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন বাঁধটি পরিদর্শন
করবেন। বাঁধটি নিয়ে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে।




error: Content is protected !!