কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে একাধিকবার ধর্ষনে অন্ত:স্বত্তা হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ঘুরছেন জনে জনে

প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে একাধিবার ধর্ষনে এক নারীকে (৩৩) অন্ত:স্বত্তা করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই নারী সোহাগসহ দুই জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।

শনিবার সরেজমিনে স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহাগ এবং এক সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি বালিয়াতলী ইউপির পক্ষিয়াপাড়া গ্রামে। ২০১৯ সালে ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে সে তার সন্তানসহ ঢাকায় গিয়ে চাকুরি শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসার পরই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় সোহাগ। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় সে ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখাতো। পরে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সোহাগ ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিবার জোরপূর্বক ধর্ষন করে। প্রায় ৪ মাস আগে সোহাগ তাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকার গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং ভূয়া কাজি এনে বিয়ের মিথ্যা নাটক করে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন তারা এক সঙ্গে বসবাস শুরুৃ করেন। গত ১৫ নভেম্বর ওই নারীকে ওই ভাড়া বাসায় রেখে সোহাগ পালিয়ে চলে আসে। বেশ কয়েকদিন পর স্বামীর খোজে ওই নারীও এলাকায় চলে আসে। গত ১০ জানুয়ারী ওই নারীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারে যে সে দুই মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সোহাগ জানার পর ওই নারীর সঙ্গে সে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং তাদের বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। এ ঘটনা সোহাগের পিতা মজিবুর হাওলাদারকে জানালে সে ওই নারীকে জ্বরের ঔষধ বলিয়া সন্তান নষ্ট করার পায়তারায় এমএম কিট নিয়ে সেবন করতে বলে। ওই নারী বিষয়টি না বুঝে এমএম কিট খেলে তার ব্লাডিং শুরু হয়। এসময় সে বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ বুঝতে পেরে খাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের অবগত করার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে সে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগী ওই নারী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি সোহাগের সঙ্গে প্রেম করতে চাইনি। সে প্রথমে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমে রাজী করায়। আমাকে সে বেশ কয়েকবার বিয়ের কথা বলেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব ধর্ষন করেছে। সে বিয়ের কথা বলায় ধর্ষনের বিষয়টি আমি লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে জানাইনি। আমি অন্ত:স্বত্তা হওয়ার পর সোহাগের পরিবারসহ এলাকার অনেকের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ধর্না ধরেছি। কিন্তু কেউই আমার বিষয়টি দেখেনি। আমি ্টখেন স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই।

এ বিষয়ে সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সোহাগের পিতা মজিবুর হাওলাদার জানান, আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। ঔষধ কিনে দেওয়া তো দুরের কথা ওই মেয়ে অমার কাছেই আসেনি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মদ বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।




error: Content is protected !!